পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ডালিকা চরণ পরশ দিয়ে দিয়ে, ধুলির ধনকে করে স্বৰ্গীয়, ধরার প্রণাম আমি তোমার তরে ॥ ম। তুই অবাক ক’রে দিলি আমায় মেয়ে। পুরাণে শুনি না কি তপ করেছেন উমা রোদের জলনে, তোর কি হল তাই । প্রকৃতি । ই মা, আমি বসেছি তপের আসনে । गी । তেণর সাধন কাহার জন্তে । প্রকৃতি । যে অামারে দিয়েছে ডাক, বচনহার। আমাকে দিয়েছে বাক । যে আমারি জেনেছে নাম, ওগো তারি নামখানি মোর হৃদয়ে থাক । অামি তারি বিচ্ছেদদহনে তপ করি চিত্তের গহনে । দুঃখের পাবকে হয়ে যায় শুদ্ধ অন্তরে মলিন যাহা অাছে রুদ্ধ, অপমান-নাগিনীর খুলে যায় পাক ॥ মা ! কিসের ডাক তোর কিসের ডাক । কোন পাতালবাসী অপদেবতার ইশার তোকে ভুলিয়ে নিয়ে যাবে, আমি মন্ত্র প’ড়ে কাটাব তার মায়। প্রকৃতি । আমার মনের মধ্যে বাজিয়ে দিয়ে গেছে— জল দাও, জল দাও । म | পোড়া কপাল আমার ! কে বলেছে তোকে ‘জল দাও’ ! সে কি তোর অপেন জাতের কেউ । প্রকৃতি । ই গো মা, সেই কথাই তো ব’লে গেলেন তিনি, তিনি আমার আপন জাতের লোক । আমি চণ্ডালী, সে যে মিথ্যা, সে যে মিথ্যা,

  • ¢ |S २ jo

Vరిన్స్