পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী

হয়েছে হতাশ হয়ে গেছেন, যেটা পাবেন নিশ্চিত করেছিলেন সেট। পান নি। কিন্তু তার পরদিন থেকেই আবার অক্লান্ত মনে খোড়াখুড়ি চলেছে। বলিষ্ঠ দেহকে বাহন ক'রে বলিষ্ঠ মনের যেন জয়যাত্রা চলছে। এমনতরো বিজ্ঞানের তপস্বী অামি আর কখনও দেখি নি। - রে থেকে ভক্তি করেছি।” 행 # "ستfaة معى" “ন, বলি শুনুন। আমার সঙ্গে আপনার পরিচয় যতই এগিয়ে চলল, ততই দুর্বল হল সেই সাধনা। নানা তুচ্ছ উপলক্ষে কাজে বাধা পড়তে লাগল। তখন ভয় হল নিজেকে, এই নারীকে । ছিছি, কী পরাজয়ের বিষ এনেছি আমার মধ্যে । এই তো আপনার দিকের কথা, এখন আমার কথাটা বলি। আমারও একটা সাধনা ছিল, সেও তপস্য। তাতে আমার জীবনকে পবিত্র করবে, উজ্জল করবে, এ আমি নিশ্চয় জানতুম। দেখলুম ক্রমেই পিছিয়ে যাচ্ছি-- যে-চাঞ্চল্য আমাকে পেয়ে বসেছিল তার প্রেরণা এই ছায়াচ্ছন্ন বনের নিশ্বাসের ভিতর থেকে, সে আদিম প্রাণের শক্তির। মাঝে-মাঝে এখানকার রাক্ষসী রাত্রির দ্বারা আবিষ্ট হয়ে মনে হয়েছে, একদিন আমার দাদুর কাছ থেকে আমাকে ছিনিয়ে নিতে পারে বুঝি এমন প্রবৃত্তিরাক্ষস আছে। তার বিশ হাত দিনে দিনে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। তখনই বিছান। ফেলে ছুটে গিয়ে ঝরনার মধ্যে ঝ"পিয়ে পড়ে আমি স্নান করেছি।” এই কথা বলতে বলতে অচিরা ডাক দিলে, “দাদু।” অধ্যাপক তার পড়া ফেলে রেখে কাছে এসে মধুর স্নেহে বললেন, "কী দিদি।” “তুমি সেদিন বলছিলে না, মানুষের সত্য তার তপস্তার ভিতর দিয়ে অভিব্যক্ত হয়ে উঠছে ?— তার অভিব্যক্তি বয়োলজির নয়।” “ই, তাই তে। আমি বলি। পৃথিবীতে বর্বর মানুষ জন্তুর পর্যায়ে। কেবলমাত্র তপস্যার ভিতর দিয়ে সে হয়েছে জ্ঞানী মানুষ । অারও তপস্যা সামনে আছে, আরও স্থলত্ব বর্জন করতে হবে, তবে সে হবে দেবতা । পুরাণে দেবতার কল্পনা আছে, কিন্তু অতীতে দেবতা ছিলেন না, দেবতা আছেন ভবিষ্যতে, মানুষের ইতিহাসের শেষ অধ্যায়ে ।” “দাছ, এইবার তোমার আমার কথাটা চুকিয়ে দিই। কদিন থেকে মনের মধ্যে তোলপাড় করছে।” В আমি উঠে পড়ে বললুম, “তা হলে আমি যাই।” 影 “ন, আপনি বস্থন । দাদু, তোমার সেই কলেজের যে অধ্যক্ষপদ তোমার ছিল, সেটা আবার খালি হয়েছে। সেক্রেটরি খুব অনুনয় ক’রে তোমাকে লিখেছেন সেই