পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిపిట রবীন্দ্র-রচনাবলী স্বায় ন'ড়ে। সেদিন মা কাকে বলছিলেন উমি ম্যাগনেটিজম নিয়ে কাজ করছেন, তাই পাশ দিয়ে কেউ গেলেই কাটা নড়ে যায়, বিশেষত মেয়ের " ”# 。 চৌধুরী হে হে করে হেসে উঠলেন, বললেন, “ম, ল্যাবরেটরি ভিতরেই আছে, ম্যাগনেটিজম নিয়ে কাজ চলছেই, কাটা ধারা নড়িয়ে দেন তাদের ভয় করতেই হয়। দিগ ভ্রম ঘটায় যে। তবে চললুম।" . নীলা মাকে বললে, “আমাকে আর কতদিন তোমার আঁচলের গাঠ দিয়ে বেঁধে রাখবে। পেরে উঠবে না, কেবল দুঃখ পাৰে।” o“তুই কী করতে চাস বল।” । 4- الله নীল বললে, “তুমি তো জানই মেয়েদের জন্যে একটা হাইয়র স্টাডি মুভমেন্ট খোলা হয়েছে, তুমি তাতে অনেক টাকা দিয়েছ। সেখানে আমাকে কেন কাজে লাগাও না।” । lrهي “আমার ভয় আছে পাছে তুই ঠিকমতে না চলিল।” “সব চলাই বন্ধ করে দেওয়াই কি ঠিক চলার রাস্তা।” “তা নয়, তা তো জানি, সেই তো আমার ভাবনা।” “তুমি না ভেবে একবার আমাকে ভাবতে দাও-ন। সে তো দিতেই হবে। আমি তো এখন খুকি নই। তুমি ভাবছ সেই-সব পাক্লিক জায়গায় নানা লোকের যাওয়া-আসা আছে, সে একটা বিপদ । জগৎসংসারে লোকচলাচল তো বন্ধ হবে ন৷ তোমার খাতিরে। আর তাদের সঙ্গে আমার জানাশুনা একেবারেই ঠেকিয়ে রাখবে ষে সে আইন তো তোমার হাতে নেই।” “জানি সব জানি, ভয় করে ভয়ের কারণ ঠেকিয়ে রাখতে পারব না। তা হলে তুই ওদের হাইয়র স্টাডি সার্কলে ভরতি হতে চাস ?” ‘ছ চাই।” “আচ্ছ। তাই হবে। সেখানকার পুরুষ অধ্যাপকদের একে একে দিবি জাহান্নমে সে জানি। কেবল একটি কথা দিতে হবে আমাকে। কোনোমতেই তুই রেবতীর কাছে ঘেষতে পাবি নে। আর কোনো ছতোতেই ঢুকবি নে তার ল্যাবরেটরিতে।” “ম, তুমি আমাকে কী মনে কর ভেৰে পাই নে। কাছে ঘেঁষতে যাব তোমার ঐ খুদে সার আইজাক নিউটনের, এমন রুচি আমার ?—মরে গেলেও না।” সংকোচ বোধ করলে রেবতী শরীরটাকে নিয়ে যে রকম আকুবাকু করে তারই নকল করে নীল বললে, “ঐ স্টাইলের পুরুষকে নিয়ে আমার চলবে না। যেসব মেয়ের ষ্ঠালোবাসে বুড়ে খোকাদের মানুষ করতে, ওকে জিইয়ে রেখে দেওয়া ভালে।