পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১৬ - রবীন্দ্র-রচনাবলী বড়শিতে গাথা, কখন চমক দিয়ে ওঠে তার ছোটো গল্পটি নানাবর্ণচ্ছটাখচিত লেজ জাছড়িয়ে । । * | f পৌরাণিক যুগের একটি ছোটাে গল্প মনে পড়ছে— ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আখ্যান। দুঃসাধ্য র্তার তপস্তা। নিষ্কলঙ্ক ব্রহ্মচর্যের দুরূহ সাধনায়। অধিরোহণ করছিলেন বশিষ্ঠ-বিশ্বামিত্র-যাজ্ঞবল্ক্যের দুর্গম উচ্চতায়। হঠাৎ দেখা দিল সামান্ত রমণী, সে গুচি নয়, সাধী নয়, সে বহন করে নি তত্ত্ব বা মন্ত্র বা মুক্তি ; এমন কি ইন্দ্রলোক , থেকে পাঠানে অঙ্গরীও সে নয়। সমস্ত যাগযজ্ঞ ধ্যানধারণ সমস্ত অতীত ভবিষ্যৎ জাট । বেঁধে গেল এক ছোটাে গ ে। * * 躺 এই হল ভূমিকা। আমি হচ্ছি সেই মানুষ যার অদৃষ্ট ভীল-রমণীর মতে ঝুড়িতে প্রতিদিন সংগ্রহ করত কঁাচ পাকা বদরী ফল, একদিন হঠাৎ কুড়িয়ে পেয়েছিল গজমুক্ত, একটি ছোটো গল্প। । i w, সাহস করে লিখে ফেলব। কাজটা কঠিন। এতে হয়তো স্বাদ কিছু বা পাওয়৷ যাবে কিন্তু পেট ভর ওজনের বস্তু মিলবে না। 靜 প্রথম পর্ব জীবনের প্রবহমান ঘোলা রঙের হ-য-ব-র-লর মধ্যে হঠাৎ যেখানে গল্পট আপন রূপ ধ’রে সন্ত দেখা দেয়, তার অনেক পূর্ব থেকেই নায়ুকনায়িকার। আপন পরিচয়ের স্বত্র গেঁথে আসে। গল্পের গোড়ায় প্রাকৃগাল্পিক ইতিহাসের ধারা অনুসরণ করতেই হয় । তাতে কিছু সময় নে ে। আমিয়ে কে, সে কথাটা পরিষ্কার করে নিই। কিন্তু নামধাম উড়াতে হবে। নইলে চেনাশোনার মহলে গল্পের যাথাযথ্যের জবাবদিহি সামলাতে পারব না। একথা সবাই বোঝে না যে ঠিকঠাক সত্য বলবার এক কায়দা, আর তার চেয়েও বেশি সত্য বলবার ভঙ্গী আলাদা। t কী নাম নেব তাই ভাবছি। রোম্যাটিক নামকরণের দ্বারা গোড় থেকে গল্পটাকে বসন্তরাগে পঞ্চমস্বরে বাধতে চাই নে। নবীনমাধব নামটা বোধ হয় চলনসই। ওর শামলা রঙটা মেজে ফেলে গিলটি লাগালে ওটা হতে পারত নবারুণ সেনগুপ্ত, কিন্তু খাটি শোনাত না। , , - আমি ছিলুম বাংলাদেশের বিপ্লবীদলের একজন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মহাকর্ষশক্তি আমাকে প্রায় টেনে নিয়ে গিয়েছিল আওীমানের তীরবরাবর। নানা বাক পথে সি. আই. ডি-র ফাস এড়িয়ে প্রথমে আফগানিস্থান, তার পরে জাপান, তার পরে আমেরিকায় গিয়ে পৌছেছিলুম জাহাজি গোরার নানা কাজ নিয়ে । ।