পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* - d J ', - - , , " : s r ,' ' i i * , i o t * * t | I ከ k * , - 19:tr , l «್ಲಿ : , ol g মুশকিলে ফেললে। বাংলা কাগজ পড়া তো আমার ঘটেই ওঠে না। অধ্যাপক উৎফুল্ল হয়ে জিগগেস করলেন, “সেটা পড়েছেন বুঝি।” : অচিরার চোখের কোণে দেখতে পেলুম একটু হাসি তাড়াতাড়ি শুরু করে দিলুম, “পড়ি আর নাই পড়ি তাতে কিছু আসে যায় না, কিন্তু আসল কথাটা হচ্ছে” — আসল কথাটা আর হাতড়ে পাইনে। * r অচিরা দয়া করে ধরিয়ে দিলে, “আসল কথা উনি নিশ্চিত জানেন, কাল যদি তোমার ওখানে নেমন্তয় জোটে তা হলে ওঁর পাতে পশুপক্ষী স্থাবরজঙ্গম কিছুই বাদ যাবে না। তাই অত নিশ্চিন্ত মনে বিলিতি বেগুনের নামকীর্তন করলেন। দাছ, তুমি সবাইকে অত্যন্ত বেশি বিশ্বাস কর, এমনকি, আমাকেও । সেইজন্যেই ঠাট্টা করে তোমাকে কিছু বলতে সাহস হয় না।” কথা বলতে বলতে ধীরে ধীরে ওঁদের বাড়ির দিকে এগিয়ে চলেছি এমন সময় অচির হঠাৎ আমাকে বলে উঠল, “বাস আর নয়— এইবার যান বাসায় ফিরে ।” আমি বললুম, “দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেব।” । অচিরা বললে, “সর্বনাশ, দরজা পেরলেই আলুথালু উচ্ছৃঙ্খলতা আমাদের দুজনের সম্মিলিত রচনা। আপনি অবজ্ঞা করে বলবেন বাঙালি মেয়ের অগোছালো। একটু সময় দিন, কাল দেখলে মনে হবে শ্বেতদ্বীপের শ্বেতভূজার অপূর্ব কীর্তি, মেমসাহেবী হাই ।” অধ্যাপক কিছু কুষ্ঠিত হয়ে আমাকে বললেন, “আপনি কিছু মনে করবেন না— দিদি বড়ে বেশি কথা কচ্ছে । কিন্তু ওটা ওর স্বভাব নয় মোটে। এখানে অত্যন্ত নির্জন, তাই ও আমার মনের ফাক ভরে রেখে দেয় কথা কয়ে । সেটা ওর অভ্যেস হয়ে যাচ্ছে। ও যখন চুপ করে থাকে ঘরটা ছমছম করতে থাকে, আমার মনটাও । ও নিজে জানে না সে কথা। আমার ভয় হয় পাছে বাইরের লোকে ওকে ভূল বোঝে।” Α বুড়োর গল। জড়িয়ে ধরে অচিরা বললে “বুঝুক-না দাছ। অত্যন্ত অনিন্দনীয় হতে চাই নে, সেটা অত্যন্ত আনইন্টারেটিঙ।” r অধ্যাপক সগর্বে বলে উঠলেন, “আমার দিদি কিন্তু কথা বলতে জানে, অমন আর কাউকে দেখি নি ।” “তুমিও আমার মতে কাউকে দেখ নি, আমিও কাউকে দেখি নি তোমার মতো।” আমি বললুম, “আচার্যদেব, আজ বিদায় নেবার পূর্বে আমাকে একটা কথা দিতে ।