পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f * I 轟 f կ i * h ጙ * f ա r i I I 3. n ' fr у s স্বৰ্ধ যেমন সৌরলোকের কেন্দ্রে থেকে টানের জ্ঞাগামে ঘোরাচ্ছে পৃথিবীকে, পজিটিভ বৈদ্যুতকণা তেমনি পরমাণুর কেন্দ্রে থেকে টান দিচ্ছে নেগেটিভ কণাগুলোকে, আর তার সার্কসের ঘোড়ার মতে লাগামধারা পজিটিতের চার দিকে ঘুরছে। । পৃথিবী ঘুরছে স্বর্ষের চার দিকে, নয় কোটি মাইলের দূরত্ব রক্ষা করে। আয়তনের তুলনায় অতিপরমাণুদের কক্ষপথের দূরত্ব অনুপাতে তার চেয়ে বেশি বই কম নয়। পরমাণু যে অণুতম আকাশ অধিকার করে আছে তার মধ্যেও দূরত্বের প্রভূত কম-বেশি আছে। ইতিপূর্বে নক্ষত্ৰলোকে বৃহত্বের ও পরস্পর-দূরত্বের অতি প্রকাওতার কথা বলেছি, কিন্তু অতি ছোটোকেও বলা যেতে পারে অতি প্রকাও ছোটে। বৃহৎ প্রকাওতার সীমাকে সংখ্যাচিহ্ন দিয়ে ঘের দিতে গেলে যেমন একের পিছনে বিশপচিশটা অঙ্কপাত করতে হয় ক্ষুদ্রতম প্রকাগুত সম্বন্ধে সেই একই কথা। তারও সংখ্যার ফৌজ লম্বা লাইন জুড়ে দাড়ায়। পরমাণুর অতি স্বল্প আকাশে যে দূরত্ব বঁচিয়ে অতিপরমাণুর চলাফেরা করে তার উপমা উপলক্ষ্যে একজন বিখ্যাত জ্যোতিষী বলেছেন, হাওড়া স্টেশনের মতো মস্ত একটা স্টেশন থেকে অন্য সব কিছু জিনিস সরিয়ে দিয়ে কেবল গোট পাঁচ-ছয় বোলতা ছেড়ে দিলে তবে তারই সঙ্গে তুলনা হতে পারে পরমাণুর আকাশস্থিত অতিপরমাণুদের। কিন্তু এই ব্যাপক শূন্যের মধ্যে দূরবর্তী কয়েকটি চঞ্চল পদার্থকে আটকে রাখবার জন্যে পরমাণুর কেন্দ্রব্রস্তুর প্রায় সমস্ত তার সমস্ত শক্তি কাজ করছে। এ না হলে পরমাণুজগৎ ছারখার হয়ে যেত, আর পরমাণু দিয়ে গড় বিশ্বজগতের অস্তিত্ব থাকত না । পদার্থের মধ্যে অণুগুলি পরস্পর কাছাকাছি আছে একটা টানের শক্তিতে। তবু সোনার মতো নিরেট জিনিসের অণুরও মাঝে মাঝে ফাক আছে। সংখ্যা দিয়ে সেই অতি সূক্ষ্ম ফাকের পরিমাণ জানাতে চাই নে, তাতে মন পীড়িত হবে। প্রশ্ন ওঠে - একটুও ফাক থাকে কেন, গ্যাস থাকে কেন, কেন থাকে তরল পদার্থ। এর একই জাতের প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবী কেন স্বর্যের গায়ে গিয়ে এটে যায় না। সমস্ত বিশ্বব্ৰহ্মাও একটা পিণ্ডে তাল পাকিয়ে যায় না কেন। এর উত্তর এই পৃথিবী স্বর্ষের টান মেনেও দৌড়ের বেগে তফাত থাকতে পারে। দৌড় যদি যথেষ্ট পরিমাণ বেশি হত তা হলে টানের বঁাধন ছিড়ে শূন্যে বেরিয়ে পড়ত, দৌড়ের বেগ যদি ক্লাস্ত হত তা হলে স্বৰ্ষ তাকে নিত আত্মসাৎ করে। অণুদের মধ্যে ফণক থেকে যায় গতির বেগে, তাতেই স্বাধনের শক্তিকে ঠেলে রেখে দেয়। গ্যাসীয় পদার্থে গতির প্রাধান্ত বেশি। অণুর দল এই অবস্থায় এত দ্রুতবেগে চলে যে তাদের পরস্পরের মিল ঘটবার অবকাশ থাকে ন। মাঝে মাঝে তাদের সংঘাত হয় কিন্তু মুহূর্তেই আবার স্বায় সরে। তরল