পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g ,! . . ; , , , , ' ' '. & l n * } , * n §§ f i r o ! , , , # , . k f l

  • * I f * a i f k I & n # , i ፶ i i f i g t 1 * n

i q | i " . . . | h _ * ! # r l † F i so ' . i f I * { * * * r 1 *

  • , ' , i f ; : n o ،الم d l f

o } i n er i t * , , I r i l i | ից উধাও হয়ে যায় না। এক বাক-টানের মহাজালে ৰছকোটি নক্ষত্র বেঁধে নিয়ে এই জগংটা লাটিমের মতো পাক খাচ্ছে। আমাদের নাক্ষত্ৰজগতের দূরবর্তী বাইরেকার জগতেও এই ঘূর্ণিপাক। এদিকে পরমাণুজগতের অণুতম আকাশেও চলেছে প্রোটনইলেকট্রনের ঘুর্খাওয়া। কালস্রোত বেয়ে চলেছে নানা জ্যোতিলোকের নান৷ আবর্ত। এই জন্যেই আমাদের ভাষায় এই বিশ্বকে বলে জগৎ । অর্থাৎ এর সংজ্ঞ। হচ্ছে এ চলছে— চলাতেই এর উৎপত্তি, চলাই এর স্বভাব। নাক্ষত্ৰজগতের দেশকালের পরিমাপ পরিমাণ গতিবেগ দূরত্ব ও তার অগ্নি-আবর্তের চিন্তনাতীত প্রচওতা দেখে যতই বিস্ময় বোধ করি একথা মানতে হবে বিশ্বে সকলের চেয়ে বড়ো আশ্চর্যের বিষয় এই যে, মানুষ তাদের জানছে, এবং নিজের আশু জীবিকার প্রয়োজন অতিক্রম করে তাদের জানতে চাচ্ছে। ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র ক্ষণভঙ্গুর তার দেহ, . বিশ্ব-ইতিহাসের কুণমাত্র সময়টুকুতে সে বর্তমান, বিরাট বিশ্বসংস্থিতির অণুমাত্র স্থানে তার অবস্থান, অথচ অসীমের কাছঘোষা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের দুষ্পরিমেয় বৃহৎ ও দুরধিগম্য স্থক্ষ্মের হিসাব সে রাখছে— এর চেয়ে আশ্চর্য মহিমা বিশ্বে আর কিছুই নেই, কিংবা বিপুল স্বষ্টিতে নিরবধি কালে কী জানি আর-কোনো লোকে আর-কোনো চিত্তকে অধিকার ক’রে আর-কোনো ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে কি না। কিন্তু একথা মানুষ প্রমাণ করেছে যে, ভূমা বাহিরের আয়তনে নয়, পরিমাণে নয়, আন্তরিক পরিপূর্ণতায় । সৌরজগৎ সূর্যের সঙ্গে গ্রহদের সম্বন্ধের বাধন বিচার করলে দেখা যায় গ্রহগুলির প্রদক্ষিণের রাস্ত স্বর্ষের বিষুবরেখার প্রায় সমক্ষেত্রে। এই গেল এক। আর-এক কথা, স্বৰ্ষ যেদিক দিয়ে আপন মেরুদণ্ডকে বেষ্টন করে ঘুর দেয়, গ্রহেরাও সেই দিক দিয়ে পাক খায় আর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এর থেকে বোঝা যায় স্বর্ষের সঙ্গে গ্রহদের সম্বন্ধ জন্মগত। তাদের সেই জন্মবিবরণের আলোচনা করা যাক। " নক্ষত্রেরা পরস্পর বহু কোটি মাইল দূরে দূরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে তাদের গায়ে পড়া বা অতিশয় কাছে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই হয়। কেউ কেউ আন্দাজ করেন যে, প্রায় দুশে কোটি বছর আগে এইরকমের একটি দুঃসম্ভব ঘটনাই হয়তো ঘটেছিল। একটি প্রকাও নক্ষত্র এসে পড়েছিল তখনকার যুগের সূর্যের কাছে। ঐ নক্ষত্রের টানে সূর্ব এবং আগন্তুক নক্ষত্রের মধ্যে প্রচও বেগে উথলে উঠল অগ্নিবাম্পের জোয়ারের