বিশ্বপরিচয় ৰখ i రిసెరి গ্রহ কাকে বলে সেকথা পূর্বেই বলা হয়েছে। স্বৰ্ষ হল নক্ষত্র ; পৃথিবী হল গ্রহ, সূর্ব । থেকে ছিড়ে-পড়া টুকরো, ঠাণ্ড হয়ে তার আলো গেছে নিবে। কোনে গ্রহেরই আপন আলো নেই। স্বর্ষের চার দিকে এই গ্রহদের প্রত্যেকের নির্দিষ্ট পথ ডিম্বরেখাকারে— কারও স্ব পথ স্বর্ষের কাছে, কারও বা পথ স্বৰ্ষ থেকে বহু দূরে। স্বর্ধকে ঘুরে আসতে কোনো গ্রহের এক বছরের কম লাগে, কারও বা একশো বছরের বেশি। যে-গ্রহেরই ঘুরতে যত সময় লাগুক এই ঘোরার সম্বন্ধে একটি বাধা নিয়ম আছে, তার কখনই ব্যতিক্রম হয় না। স্বর্যপরিবারের দূর বা কাছের ছোটে বা বড়ে। সকল গ্রহকেই পশ্চিম দিক থেকে পুব দিকে প্রদক্ষিণ করতে হয়। এর থেকে বোঝা যায় গ্রহের স্বৰ্ষ থেকে একই অভিমুখে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়েছে, তাই চলবার ঝোক হয়েছে একই দিকে। চলতি গাড়ি থেকে নেমে পড়বার সময় গাড়ি যে মুখে চলেছে সেই দিকে শরীরের উপর একটা বেণক আসে। গাড়ি থেকে পাচজন নামলে পাচজনেরই সেই একদিকে হবে ক্টোক। তেমনি ঘূর্ণ্যমান স্বর্য থেকে বেরিয়ে পড়বার সময় সব গ্রহই একই দিকে ঝোক পেয়েছে। ওদের এই চলার প্রবৃত্তি থেকে ধরা পড়ে ওরা সবাই এক জাতের, সবাই একঝেণক । স্বর্ষের সব চেয়ে কাছে আছে বুধগ্রহ, ইংরেজিতে ষাকে বলে মার্করি। সে স্বৰ্ষ থেকে সাড়েতিন কোটি মাইল মাত্র দূরে। পৃথিবী যতটা দুর বঁচিয়ে চলে তার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। বুধের গায়ে ঝাপসা কিছু কিছু দাগ দেখা যায়, সেইটে লক্ষ্য করে বোঝা গেছে কেবল ওর এক পিঠ ফেরানো স্বর্ষের দিকে। স্বর্ষের চার দিক ঘুরে আসতে ওর লাগে ৮৮ দিন। নিজের মেরুদণ্ড ঘুরতেও ওর লাগে তাই। সূর্যপ্রদক্ষিণের পথে পৃথিবীর দৌড় প্রতি সেকেণ্ডে উনিশ মাইল । বুধগ্রহের দৌড় তাকে ছাড়িয়ে গেছে, তার বেগ প্রতি সেকেণ্ডে ত্ৰিশ মাইল । একে ওর রাস্ত। ছোটো তাতে ওর ব্যস্তত বেশি, তাই পৃথিবীর শিকি সময়েই ওর প্রদক্ষিণ সারা হয়ে যায়। বুধগ্রহের প্রদক্ষিণের যে-পথ স্বর্য ঠিক তার কেন্দ্রে নেই, একটু একপাশে আছে। সেইজন্যে ঘোরবার সময় বুধগ্রহ কখনও স্বর্ষের অপেক্ষাকৃত কাছে আসে কখনও যায় দূরে। এই গ্রহ স্বর্ষের এত কাছে থাকাতে তাপ পাচ্ছে খুব বেশি। অতি সূক্ষ্ম পরিমাণ তাপ মাপবার একটি যন্ত্র বেরিয়েছে, ইংরেজিতে তার নাম thermo-couple ৷ তাকে দুরবীনের সঙ্গে জুড়ে গ্ৰহতারার তাপের খবর জানা যায়। এই যন্ত্রের হিসাব অনুসারে, বুধগ্রহের যে-অংশ হর্যের দিকে ফিরে থাকে তার তাপ সালে টিন গলাতে পারে। এই ఇ(t|ఆ
