পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

նս r- 8. * o H so ، ر { 爆 ... 1 f в в 鲤 , z f : н F i Ա: H ■ ! k * i ሤ F ويا ج 8.

  • o i 'ቆ ي ! !
  • - c. ul F

i i i i I J s f i J. r বাতাসের ঘনত্ব কমতে কমতে ক্রমশই বাতাস অনেক উর্ধ্বে উঠে গিয়েছে। বাহিকে পৃথিবীতে যে উদ্ধাপাত হয় পৃথিবীর হাওয়ার ঘর্ষণে তা জলে ওঠে, তাদের অনেকেরই এই জলন প্রথম দেখা দেয় ১২০ মাইল উপরে। ধরে নিতে হবে তার উর্ধ্বে আরও অনেকখানি বাতাস আছে যার ভিতর দিয়ে আসতে আসতে তবে এই জলনের অবস্থা ঘটে । so সুর্যের আলো নয় কোটি মাইল পেরিয়ে আসে পৃথিবীতে। গ্রহবেষ্টনকারী আকাশের শূন্তত পার হয়ে আসতে তেজের বেশি ক্ষয় হবার কথা নয়। যে প্রচও তেজ নিয়ে সে বায়ুমণ্ডলের প্রত্যন্ত দেশে পৌছয় তার আঘাতে সেখানকার হাওয়ার পরমাণু নিশ্চয়ই ভেঙেচুরে ছারখার হয়ে যায়— কেউ আস্ত থাকে না। বাতাসের সর্বোচ্চ ভাগে ভাঙা পরমাণুর যে স্তরের স্বষ্টি হয় তাকে নাম দেওয়া হয় ( F 2 ) এফ ২ স্তর । সেখানকার খরচের পর বাকি স্বৰ্যকিরণ নিচের ঘনতর বায়ুমণ্ডলকে আক্রমণ করে, সেখানেও পরমাণুভাঙা যে স্তরের উদ্ভব হয় তার নাম দেওয়া হয়েছে ( F 1 ) এফ ১ স্তর । , আরও নিচে আরও ঘন বাতাসে সূর্যকিরণের আঘাতে পঙ্গু পরমাণুর আরও-একটা যে স্তর দেখা দেয়, তার নাম ( E ) ই স্তর। স্বৰ্যকিরণের বেগনি-পারের রশ্মি পরমাণু-ভাঙচুরের কাজে সব চেয়ে প্রধান উদ্যোগী। উচ্চতর স্তরে উপদ্রব শেষ করতে করতে বেগনি-পারের রশ্মি অনেকখানি নিঃস্ব হয়ে নিচের হাওয়ায় অল্প পৌছয়। সেটা আমাদের রক্ষে । বেশি হলে সইত না। স্বৰ্যকিরণ ছাড়া আরও অনেক কালাপাহাড় দূর থেকে আসে বাতাসকে অদৃশ্য গদাঘাত করতে। যেমন উল্কা, তাদের কথা পূর্বেই বলা হয়েছে। এরা ছুটে আসে গ্রহ-আকাশের ভিতর দিয়ে এক সেকেণ্ডে দশ থেকে একশো মাইল বেগে । হাওয়ার ঘর্ষণে তাদের মধ্যে তাপ জেগে ওঠে, তার মাত্রা হয় তিন হাজার থেকে সাত হাজার ফারেনহাইট ডিগ্রি পর্যন্ত ; তাতে করে বেগনি-পারের আলোর তীক্ষ বাণ তৃণমুক্ত হয়ে আসে, বাতাসের অণুগুলোর গায়ে পড়ে তাদের জালিয়ে চুরমার করে দেয়। এ ছাড়া আর-এক রশ্মিবর্ষণের কথা পূর্বেই বলা হয়েছে। সে কমিক রশ্মি। বিশ্বে সে-ই হচ্ছে সব চেয়ে প্রবল শক্তির বাহন। م পৃথিবীর বাতাসে আছে অক্সিজেন নাইট্ৰজেন প্রভৃতি গ্যাসের কোটি কোটি অণুকণা, তারা অতি দ্রুতবেগে ক্রমাগতই ঘোরাঘুরি করছে, পরস্পরের মধ্যে সংঘাত চলছেই। যারা হালকা কণা তাদের দৌড় বেশি। সমগ্র দলের ষে বেগ তার চেয়ে