পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ৪৩৭ খুশি হয়ে ফিরেছি, খবরের ঝুলিটাতে দিনভিক্ষে যা জুটেছে তার সঙ্গে দিয়েছি আমার খুশির ভাষা মিলিয়ে। ছোটোখাটে। অপরাধ যদি ঘটে থাকে সেই খুশির ভোগে অনেকটা তার খগুন হতে পারে। জ্ঞানের দেশে ভ্রমণের শখ ছিল বলেই বেঁচে গেছি, বিশেষ সাধন না থাকলেও। সেই শখটা তোমাদের মনে যদি জাগাতে পারি তা হলে আমার যতটুকু শক্তি সেই অনুসারে ফল পাওয়া গেল মনে করে আশ্বস্ত হব। —বাংলাভাষা-পরিচয়, পৃ ys ‘বিশ্বপরিচয় পরবর্তীকালে বিশ্বভারতী কতৃক লোকশিক্ষা-গ্রন্থমালা’র প্রারম্ভিক গ্রন্থ হিসাবে প্রকাশিত হইয়াছে। উক্ত গ্রন্থমালার উদ্দেশ্য বর্ণনা করিয়৷ ভূমিকায় সাধারণভাবে রবীন্দ্রনাথ যাহা বলিয়াছেন, আলোচ্য গ্রন্থ রচনার গভীরতর প্রেরণাটি হৃদয়ঙ্গম করিতে তাহ বিশেষ সাহায্য করে। ভূমিকাটির প্রাসঙ্গিক কয়েক ছত্র ब्रिट्न्न উদ্ধৃত হইল : _ শিক্ষণীয় বিষয়মাত্রই বাংলাদেশের সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপ্ত করে দেওয়৷ এই অধ্যবসায়ের উদ্দেশ্য । তদনুসারে ভাষা সরল এবং যথাসম্ভব পরিভাষাবর্জিত হবে, এর প্রতি লক্ষ্য করা হয়েছে ; অথচ রচনার মধ্যে বিষয়বস্তুর দৈন্য থাকবে না, সেও অামাদের চিন্তার বিষয় । , , , বুদ্ধিকে মোহমুক্ত ও সতর্ক করবার জন্য প্রধান প্রয়োজন বিজ্ঞানচর্চার। আমাদের গ্রন্থপ্রকাশকার্যে তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। —লোকশিক্ষা-গ্রন্থমালার ভূমিকা