পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ রবীন্দ্র-রচনাবলী ২৫ বিরাট মানবচিত্তে অকথিত বাণীপুঞ্জ অব্যক্ত আবেগে ফিরে কাল হতে কলে মহাশূন্যে নীহারিকাসম । সে আমার মনঃসীমানার সহসা আঘাতে ছিন্ন হয়ে আকারে হয়েছে ঘনীভূত, আবর্তন করিতেছে আমার রচনা কক্ষপথে উদয়ন ৫ ডিসেম্বর, ১৯৪০ । সকাল २७ এ কথ। সে কথা মনে আসে, বর্ষাশেষে শরতের মেঘ যেন ফিরিছে বাতাসে । কাজের বাধনহার। শূন্তে করে মিছে আনাগোন ; কখনো রুপালি অঁাকে, কখনো ফুটায়ে তোলে সোন। অদ্ভুত মূর্তি সে রচে দিগন্তের কোণে, রেখার বদল করে পুনঃ পুনঃ যেন অন্যমনে । বাম্পের সে শিল্পকাজ যেন আনন্দের অবহেল— কোনোখানে দায় নেই, তাই তার অর্থহীন খেল । জাগার দায়িত্ব আছে, কাজ নিয়ে তাই ওঠাপড় । ঘুমের তো দায়-নেই, এলোমেলে৷ স্বপ্ন তাই গড় । মনের স্বপ্নের ধাত চাপ থাকে কাজের শাসনে, বসিতে পায় না ছুটি স্বরাজ-আসনে । যেমনি সে পায় ছাড়া থেয়ালে খেয়ালে করে ভিড়, স্বপ্ন দিয়ে রচে যেন উড় ক্ষু পাখির কোন নীড়। আপনার মাঝে তাই পেতেছি প্রমাণ— স্বপ্নের এ পাগলামি বিশ্বের আদিম উপাদান ।