পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসী কাননে ফুটিত শেফালিকা, ফুলে ছেয়ে যেত তরুমূল । পরিপূর্ণ সুরধুনী, কুলুকুলু ধ্বনি শুনি, পরপারে বনশ্রেণী কুয়াশা-আকুল । আঁখিতে কঁাপিত প্ৰাণখনি । আনন্দে বিষাদে মেশা সেই নয়নের নেশা তুমি তো জানো না তাহা, আমি তাহা জানি । সে কি মনে পড়িবে তোমারসহস্ৰ লোকের মাঝখানে যেমনি দেখিতে মোরে কোন আকর্ষণডোরে আপনি আসিতে কাছে জ্ঞানে কি অজ্ঞানে । ক্ষণিক বিরহ-অবসানে নিবিড় মিলন-ব্যাকুলতা মাঝে মাঝে সব ফেলি। রহিতে নয়ন মেলি, আঁখিতে শুনিতে যেন হৃদয়ের কথা । , কোনো কথা না রহিলে তবু শুধাইতে নিকটে আসিয়া । নীরবে চরণ ফেলে চুপিচুপি কাছে এলে কেমনে জানিতে পেতে, ফিরিতে হাসিয়া । আজ তুমি দেখেও দেখ না, সব কথা শুনিতে না পাও ৷ কাছে আসা আশা ক’রে আছি সারাদিন ধরে, আনমনে পাশ দিয়ে তুমি চলে যাও । দীপ জেলে দীর্ঘ ছায়া লয়ে বসে আছি সন্ধ্যায় ক’জনা— হয়তো বা কাছে এস, হয়তো বা দূরে বস, সে সকলই ইচ্ছাহীন দৈবের ঘটনা । এখন হয়েছে বহু কাজ, সতত রয়েছ। অন্যমনে । সর্বত্র ছিলাম। আমি- এখন এসেছি নামি হৃদয়ের প্রান্তদেশে, ক্ষুদ্র গৃহকোণে ! ܘܟܠ ܓ .