পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতির প্রতিশোধ সপ্তম দৃশ্য পর্বতশিখরে সন্ন্যাসী পর্বতপথে দুইজন স্ত্রীলোকের প্রবেশ 5R বনে এমন ফুল ফুটেছে, মান করে থাকা আজ কি সাজে !! মান-অভিমান ভাসিয়ে দিয়ে চলো চলো কুঞ্জমাঝে । A. আজ কাননে ওই বাশি বাজে । মান করে থাকা আজ কি সাজে ! আজ মধুরে মিশাবি মধু, পরান-বঁধু চাদের আলোয় ওই বিরাজে মান করে থাকা আজ কি সাজে !! সন্ন্যাসী । সহসা পড়িল চোখে এ কী মায়াঘের । জগতেরে কেন আজি মনোহর হেরি ! পশ্চিমে কনকসন্ধ্যা সমুদ্রের মাঝে সুধীরে নীলের কোলে যেতেছে মিলায়ে । নিম্নে বনভূমিমাঝে ঘনায় আঁধার, সন্ধ্যার সুবৰ্ণছায়া উপরে পড়েছে। সিন্ধু শুধু গাহিতেছে অবিশ্রাম গান । বামে, দূরে দেখা যায় শৈলপদতলে শ্যামল তরুর মাঝে নগরের গৃহ । কোলাহল থেমে গেছে, পথ জনহীন দীপ জ্বলে উঠিতেছে। দু-একটি ক’রে— সন্ধ্যার আরতি হয়, শঙ্খ ঘণ্টা বাজে । প্রকৃতি, এমন তোরে দেখি নি কখনো— এমন মধুর যদি মায়ামূর্তি তোর, দূর হতে বসে বসে দেখি-না চাহিয়া ! হেথায় বসি-না কেন রাজার মতন, জগতের রঙ্গভূমি সম্মুখে আমার ! আমি আজি প্ৰভু তোর, তুই দাসী মোর, দেখা তোর জগতের মহা ইন্দ্ৰজাল । খেলা করা সমুখেতে চন্দ্ৰসূর্য নিয়ে, নীলাকাশ রাজছত্র ধর মোর শিরে, সমস্ত জগৎ দিয়ে কর মোরে পূজা । «Ծ) Գ Գ