পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8try রবীন্দ্র-রচনাবলী তৃতীয় সখী । সখী, কেন যেতে দিলে ! প্ৰথম সখী । ভালোই করেছ । স্বেচ্ছায় না দিলে ছাড়ি বাধন ছিড়িয়া যায় চিরদিন তারে । হায় সখী, হায়, শেষে নিবাতে হল কি উৎসবের দীপ ? ইলা । সখী, তোরা চুপ কর, টুটিছে হৃদয় । ভেঙে দে ভেঙে দে। ওই দীপমালা । বল সখী, কে দিবে নিবায়ে লজ্জাহীন পূর্ণিমার আলো ? কেন আজ মনে হয়, আমার এ জীবনের সুখ আজি দিবসের সাথে ডুবিল পশ্চিমে ? অমনি ইলারে কেন অস্তপথ-পানে সঙ্গে নাহি নিয়ে গেল ছায়ার মতন ? চতুর্থ অঙ্ক প্রথম দৃশ্য জলন্ধর রণক্ষেত্র । শিবির বিক্রমদেব ও সেনাপতি সেনাপতি । বন্দীকৃত শিলাদিত্য উদয়ভাস্কর, শুধু যুদ্ধাজিৎ পলাতক— সঙ্গে লয়ে नन्प्रब्बब् । বিক্রমদেব । চলো। তবে অবিলম্বে তাহার পশ্চাতে । উঠাও শিবির। তবে । ভালোবাসি। আমি এই ব্যগ্র উর্ধবশ্বাস মানব মৃগয়া ; গ্রাম হতে গ্রামান্তরে, বন গিরি নদীতীরে দিবারাত্রি এই কৌশলে কৌশলে খেলা । বাকি আছে আর কেবা বিদ্রোহীদলের ? সেনাপতি । শুধু জয়সেন । কর্তা সেই বিদ্রোহের । সৈন্যবল তার সব চেয়ে বেশি । বিক্রমদেব । চলো। তবে সেনাপতি, তার কাছে । আমি চাই উদগ্র সংগ্ৰাম, বুকে বুকে বাহুতে বাহুতে- অতি তীব্ৰ প্ৰেম-আলিঙ্গন-সম । ভালো নাহি লাগে