পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QObr রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বিক্রমদেব । বন্দীভাবে অপমান করিলে স্বীকার, রেবতী । বিক্রমদেব । b5¶Cኃዘማ | ठ রেবতী । বিক্রমদেব | চন্দ্ৰসেন । বিক্রমদেব । রেবতী । করিব মার্জনা | এই শুধু ? আর কিছু নয় ? অবশেষে মার্জনা করিবে। যদি তবে কেন এত কেশে এত সৈন্য লয়ে এত দূরে আসা ! ভৎসনা কোরো না মোরে । রাজার প্রধান কাজ, আপনার মান রক্ষা করা । যে মস্তক মুকুট বহিছে অপমান পারে না বহিতে । মিছে কাজে আসি নি হেথায় । ক্ষমা তারে করো বৎস, বালক সে অল্পবুদ্ধি। ইচ্ছা কর যদি রাজ্য হতে করিয়ো বঞ্চিত— কেড়ে নিয়ো সিংহাসন-অধিকার । নির্বাসন সেও ভালো, প্ৰাণে বধিয়ো না । চাহি না বধিতে । তবে কেন এত অস্ত্ৰ এনেছ বহিয়া ? এত আসি শার ? নির্দোষী সৈনিকদের বধ করে যাবে, যথার্থ যে জন দোষী ক্ষমিবে তাহারে ? কী বলিছ তুমি । কিছু নয়, কিছু নয় । আমি তবে বলি বুঝাইয়া । সৈন্য যাবে মোর কাছে মাগিল কুমার, আমি তারে কহিলাম, বিক্রম মেহের পাত্ৰ মোরতার সনে যুদ্ধ নাহি সাজে। সেই ক্ষোভে ক্রুদ্ধ যুবা প্রজাদের ঘরে ঘরে গিয়া বিদ্রোহে করিল উত্তেজিত । অসন্তুষ্ট মহারানী তাই ; রাজবিদ্রোহীর শাস্তি করিছে প্রার্থনা তোমা-কাছে । গুরুদণ্ড দিয়ে না। তাহারে, সে যে অবোধ বালক । আগে তারে বন্দী করে আনি । তার পরে যথাযোগ্য করিব বিচার । প্ৰজাগণ। লুকায়ে রেখেছে তারে । আগুন জ্বালাও ঘরে ঘরে তাহদের । শস্যক্ষেত্র করো ছারখার । ক্ষুধা-রাক্ষসীর হাতে সঁপি দাও দেশ, তবে তারে করিবে বাহির । ,