পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9ዕ6ሱbቻ রবীন্দ্র-রচনাবলী আলোকে দেশের সমস্ত অসম্পূর্ণতা মূঢ়তা কদৰ্যতা সব-কিছুকে অত্যুক্তিবর্জিত করে জেনে দৃঢ় ংকল্পের সঙ্গে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করো। যেখানে বাস্তবের ক্ষেত্রে ভাগ্য, আমাদের প্রতিদিন বঞ্চিত করে অবমানিত করে, সেখানে ঘর-গড়া অহংকারে নিজেকে ভোলাবার চেষ্টা দুর্বল চিত্তের দুৰ্লক্ষণ। সত্যকার কাজ আরম্ভ করার মুখে এ কথা মানাই চাই যে, আমাদের সমাজে, আমাদের স্বভাবে, আমাদের অভ্যাসে, আমাদের বুদ্ধিবিকারে গভীরভাবে নিহিত হয়ে আছে আমাদের সর্বনাশ। যখনই আমাদের দুৰ্গতির সকল দায়িত্ব একমাত্র বাহিরের অবস্থার অথবা অপর কোনো পক্ষের প্রতিকূলতার উপর আরোপ করে বধির শূন্যের অভিমুখে তারস্বরে অভিযোগ ঘোষণা করি তখনই হতাশ্বাস ধৃতরাষ্ট্রের মতো মন বলে ওঠে : তদা নাশংসে বিজয়ায় সঞ্জয়। আজ আমাদের অভিযান নিজের অন্তনিহিত আত্মশক্রিতার বিরুদ্ধে; প্রাণপণ আঘাত হানতে হবে বহুশতাব্দীনির্মিত মূঢ়তার দুৰ্গভিত্তি-মূলে। আগে নিজের শক্তিকে তামসিকতার জড়িমা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে তার পরে পরের শক্তির সঙ্গে আমাদের সম্মানিত সন্ধি হতে পারবে। নইলে আমাদের সন্ধি হবে ঋণের জালে, ভিক্ষুকতার জালে আষ্টেপৃষ্ঠে আড়ষ্টকর পাকে জড়িত। নিজের শ্ৰেষ্ঠতার দ্বারাই অন্যের শ্রেষ্ঠতাকে আমরা জাগাতে পারি, তাতেই মঙ্গল আমাদের ও অন্যেরা। দুর্বলের প্রার্থনা যে কুষ্ঠাগ্রস্ত দান সঞ্চয় করে সে দান শতছিদ্র ঘটের জল, যে আশ্রয় পায় চোরাবালিতে সে আশ্রয়ের ভিত্তি - - হে বিধাতা, fig ang Gaias (5k ang দুঃসাধোর নিমন্ত্রণে । দুঃসহ দুঃখের গর্বে। টেনে তোলো রসাত্ত ভাবের মোহ হতে । মানবমর্যাদা বিসর্জন, চুৰ্ণ করো যুগে যুগে স্তুপীকৃত লজারাশি নিষ্ঠুর আঘাতে। নিঃসংকোচে উদাত্ত আলোকে, মুক্তির বাতাসে। ৫ ফাল্গুন ১৩৪৩ ৷