পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মদিনে অবিচার নারীর দুখের দশা অপমানে জড়ানো এই দেখি দিকে দিকে ঘরে ঘরে ছড়ানো। জানো কি এ অন্যায় সমাজের হিসাবে নিমেষে নিমেষে কত হলাহল মিশাবে ? পুরুষ জেনেছে এটা বিধিনির্দিষ্ট তাদের জীবন-ভোজে নারী উচ্ছিষ্ট । রোগ-তাপে সেবা পায়, লয় তাহা অলসেসুধা কেন ঢালে বিধি ছিদ্র এ কলসে ! সমসম্মান হেথা নাহি মানে পুরুষে, নিজ প্রভুপাদমদে তুলে রয় ভুরু সে । অর্ধেক কাপুরুষ অর্ধেক রমণী তাতেই তো নাভীছাড়া এ দেশের ধমনী । বুঝিতে পারে না। ওরা- এ বিধানে ক্ষতি কার । জানি না। কী বিপ্লবে হবে এর প্রতিকার । একদা পুরুষ যদি পাপের বিরুদ্ধে অর্ধেক-কালি-মাখা সমাজের বুকটা খাবে। তবে বারে বারে শনির চাবুকটা । এত কথা বৃথা বলা- যে পেয়েছে ক্ষমতা নিঃসহায়ের প্রতি নাই তার মমতা, আপনার পৌরুষ করি দিয়া লাঞ্ছিত অবিচার করাটাই হয় তার বাঞ্ছিত। পৌষ ১৩৪৭ [ ১৯ ডিসেম্বর ১৯৪০]