পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা শব্দতত্ত্ব 8br(? হইয়াছেন। তিনি যেন সম্পাদককে বিদ্রুপ করিবার সুযোগ খুজিতেছিলেন এবং সেই সুযোগ পাইয়াই দুইটা কথা শুনাইয়া দিয়াছেন। এ প্রকার লেখায় সাধারণ পাঠকবর্গের বা প্রাচীন-কাব্য সংগ্রহের-বিদ্যাপতি বা চণ্ডীদাসের কোনো লাভ হয় নাই- হইয়াছে, কেবল নিন্দা করিয়া শান্তি লাভ । প্রত্যুক্তর- অসম্ভব ও অসংগত উক্তি শুনিলে আমাদের স্বভাবতই হাসি আসে। একজনকে একটা অদ্ভুত কার্য করিতে দেখিয়া বা অদ্ভুত কথা কহিতে শুনিয়া আমরা যদি হাসিয়া উঠি, সে কি বলিতে পারে যে, তাহার প্রতি শক্ৰতা-বশত আমরা বহুদিন হইতে অবসর খুজিতেছিলাম, কখন সে অদ্ভুত কথা বলিবে ও আমরা হাসিয়া উঠিব ? হাসি সামলাইতে পারি নাই, হাসিয়াছিলাম। মধ্যে মধ্যে এরূপ বেয়াদবি করিবার অধিকার সকল দেশের সাহিত্য-সমালোচক-দেরই আছে। শ্ৰীীরঃ ל- ° উত্তর- জানিয়বি শব্দে ‘য়’ ভুল নহে। আমাদের বোধ হয় ‘নাতে আকার দিতে ছাপাের ভুল হইয়া থাকিবে। হিন্দিতে যখন “দেখায়ব’ ‘লিখায়ব’ প্রভৃতি আছে, তখন জানায়ব বা জানায়বি না হইবে কেন? ছাপাের ভুলের জন্য সম্পাদককে দায়ী করা যায় না। বিশেষত বঙ্গদেশে এমন পুস্তক খুব কম যাহাতে ছাপাের ভুল নাই। আমাদের আলোচ্য প্রবন্ধেই ছাপাের ভুল আছে ; ছাপাের ভুলের জন্য কোনো গ্ৰন্থকারকে কেহ দোষী করেন না। তবে নিন্দা করিবার অভিপ্ৰায় থাকিলে সে স্বতন্ত্র কথা । শ্ৰীযে প্রত্যুত্তর—একে সহজেই দুর্বোধ্য ভাষা, তাহার উপরে ছাপাের ভুল হইলে না কি বিশেষ হানি হইবার সম্ভাবনা এই নিমিত্তই আমরা বলি এ-সকল বই ছাপাইতে নিতান্তই পরিশ্রম করা আবশ্যক। সচরাচর প্রকাশিত বাংলা পুস্তকে ভুল থাকিলে তেমন হানি হয় না। প্রাচীন কবিতায়, কোনটা ছাপাের ভুল কোনটা নহে তাহা নির্ণয় করা নিতান্তই দুঃসাধ্য। জানায়বি’ এবং জানাওবি’ উভয়ই হইতে পারে, অতএব ‘য়’ এবং ‘ও’ লইয়া আমার বিবাদ নহে— আমার কথা এই যে আকারটি না থাকাতে ছত্রটির অর্থ পাওয়া যায় না। @可颈一 “হিম হিমকর তাপে তাপায়লু ভৈগেল কাল বসন্ত। কিয়ে করু। মদন দুরন্ত। কান্ত কাকের মুখে সংবাদ পাঠাইলেন না পাঠ করিয়া প্রবন্ধ-লেখক অজ্ঞান হইয়াছেন। কাকের মুখে সংবাদ বড়ো আশ্চর্য কথা! লেখক নিশ্চয়ই কলিকতাবাসী হইবেন, কাকের মুখে সংবাদ দেওয়ার কথা যে বঙ্গদেশের প্রায় সমুদয় স্থানেই (কলিকাতায় আছে কি না জানি না) প্রচলিত। আছে, তাহা তিনি অবগত নহেন। কাকই যে প্রেমের দূত এরূপ নহে; কোকিলও সময়ে সময়ে প্রেমের দৌত্য কাৰ্য করিয়া থাকে। আমরা একটি গীতে শুনিয়াছি- “যা রে কোকিল আমার