পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ ৩ কি সেই সহজ ও সরল পন্থা গ্রহণ করিলে অপরাধ হয় । হিন্দুগণও সাধনপথের অনেক সহজ ও সরল উপায় আবিষ্কার করিয়াছেন, আমি সেই উপায়গুলিরই কথা প্ৰলিয়া দিয়াছি—তাহা সকল জাতিই, সকল বর্ণই গ্রহণ । করিতে পারেন, তাহাতে কোন দোষ হয় বলিয়৷ বিবেচনা করি না । শিষ্য। দোষ না হইতে পারে, কিন্তু আমি জিজ্ঞাসা করিতেছি, ধৰ্ম্ম সাম্প্রদায়িকতা গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ কেন ? ধৰ্ম্ম শব্দ ধৃ ধাতু হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। ধৃ ধাতুর অর্থ ধারণ করা। ধাত্বৰ্থে বুঝিতে পারি, লোকত্ৰয় বা জগত্রয় যাহাতে ধৃত বা নিহিত, তাহাকেই ধৰ্ম্ম বলে । অথবা লোকসকল যাহাকে ধারণ করিয়া আছে, তাহাই ধৰ্ম্ম । আমি অবশু লোক অর্থে জীব লোক, মকুন্য লোক, দেবলোক প্রভৃতি সকল লোকের কথাই বলিয়াছি। গুরু। কেবল লোক সকল কেন, মহাদি অণু পৰ্যন্ত ভুবনত্রয়ে যাহা কিছুর সম্ভাবনা আছে, তৎসমস্তই ধর্শ্বের দ্বারা রক্ষিত, ধৃত ও পরিচালিত । ধৰ্ম্মই জগৎ যন্ত্রের • যন্ত্রী,—ধৰ্ম্মই সুখের উপায়। ধৰ্ম্মের জন্তই জাগতিক পদার্থের আকুল-আক:জার ছুটাছুটি । শিষ্য। যদি তাহাই হয়, তবে ধৰ্ম্ম সকলেরই এক নহে কেন ? তবে সমস্ত জগৎ জুড়িয়া সাম্প্রদায়িকতার এ বিদ্বেষ-কোলাহল উখিত হয় কেন ? ধৰ্ম্ম এবং ধর্মের