পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२** ,哆博:事芭了1, [ २ा चः গুরু । কি গোলযোগ বোধ হইল ? : শিস্য। জলের কাছে প্রার্থনা করা হইল যে, ছে জল ! ইহলোকে আমাকে অল্প দাও, এবং পরলোকে পরব্রহ্মের সহিত মিলন কর ? এ কথার অর্থ কি ? গুরু। অর্থ না ভাবের কথা জিজ্ঞাসা করিতেছ ? শিষ্য। অর্থ ও ভাব উভয়ই। জলের কি ক্ষমতা আছে যে, জল ইহকালে অল্প ও পরকালে পরব্রহ্মের সহিত মিলন করিয়া দিতে পারে ? গুরু। তুমি বোধ হয় অবগত আছ যে, মহাপ্রলয়ে সমস্ত পৃথিবী অত্যন্ত তাপপ্রভাবে গলিয়া যায়,—তখন অন্য কোন পদার্থ ই বিদ্যমান থাকে না,—সমস্ত গলিয়া খায়, তখন এই পৃথিবী জলময় হইয়া যায়, দৃশু পদার্থের মধ্যে থাকে জল ; আর থাকেন ভগবান। আমাদের এই সৌরজগতের মূল পদার্থ তাই জলের উপাদানে সমধিক গঠিত বলিয়া মনে হয়,—অবশেষে ভগবান সেই জলে শয়ন করিয়া থাকিয়া আবার স্বষ্টি করেন। জলের যে মূলতত্ত্ব—সেই তত্বের সহিত ভগবান বিরাজ করেন। জল হইতেই আবার স্বষ্টি হয়,—পাঞ্চভৌতিক সংমিশ্রণতা যদিও প্রয়োজন এবং জলে সে সমস্তই থাকে, তথাপিও মনে হয়, জলের তন্মাজাই আমাদিগের শেষ অবলম্বন, জার ভগবানের আশ্রয়,—তাই জলের নিকটে ইহকালেরজয় ও পরকালের মুক্তি প্রার্থনা করা হয়। অন্ন অর্ধে