পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭ જૂ: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । २२४ কিন্তু পুরাণে আমাকে অপর প্রকৃতি বলে, মায়াও বলিয়া থাকে। বেদে বলে স্বাহ,—পথ ছাড়, আমি চলিয়া যাই। ব্রা। আপনার কথা আমি ভাল বুঝিতে পারিলাম না,—যাহা হউক, আর একটি কথা আমার জিজ্ঞাস্ত আছে, —আপনি প্রত্যহ প্রত্যুষে ঐ ঘোর কৃষ্ণবর্ণ কাপড়খানি লইয়া ঘাটে আসেন, এবং ধৌত করিয়া শুভ্র করিয়া লইয়া যান। ভাল, প্রত্যহ আপনার ঐ কাপড়খানি অত কালোই বা হয় কেন, আর আপনিই বা তাহা প্রত্যহ কাচিয়া গুন্দ্র করেন কেন ? দয়া করিয়া সে কথা আমাকে বলিবেন কি ? গা। হুঁ, বলিব। আমি গায়ত্রী—আমাকে যে নিত্য জপ করে, আমি তাহার হৃদয়ে নিত্যকৃত মহাপাতকরাশি বিধৌত করিয়া দিই। তুমি হুর্য্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বহুবিধ পাতকরাশি সঞ্চয় করিতে থাক,—তাহাতে তোমার চিত্ত পাপের গাঢ় কালিতে মুসীবর্ণ হইয়া যায়,—আবার যখন প্রত্যুষে উঠিয়া স্নানান্তে গায়ত্ৰী জপ কর,—তখন আমাকে তাহা ধৌত করিয়া শুভ্রবর্ণ করিয়া দিতে হয়,—আমার হস্তে এই যে, শুভ্রবর্ণ বস্ত্র দেখিতেছ, ইহা তোমার চিত্তক্ষেত্র,-- এখন গায়ত্ৰী জপান্তে তোমার চিত্তক্ষেত্র এইরূপই শুভ্র ও নিৰ্ম্মল। কিন্তু বোলয়ে গিয়া তাহাকে স্পর্শ করিবৃমাত্র, কলঙ্কিত হইতে আরম্ভ হইবে,—তার পরে, সমস্ত দিবারাত্রির তোমার অনুষ্ঠিত মহাপাতকে প্রত্যুষে আমার হস্তে যেরূপ গাঢ় কালো কাপড় দেখ, সেইরূপ হইয়া যায়, আবার