পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७8 স্বধৰ্ম্মত্যাগ । [ ৩য় অঃ o চৈতন্ত দেব বলিলেন,—“তুমি যে নিষ্কাম কৰ্ম্মের কথা বলিলে, " অর্থাৎ আমি যাহা আচরণ করিব, যাহা কিছু ভোজন করিব, যে কিছু হোম করিব, যাহা দান করিব, এবং যে কিছু তপস্যা করিব,—তৎসমস্তই শ্ৰীভগবানে সমর্পণ করিব, ইহাতে আমার কৰ্ম্মসংস্কার দূরীভূত হইতে পারে—কৰ্ম্মের দাগ মুছিয়া যাইতে পারে, কিন্তু আনন্দ কৈ ? রস কৈ—প্রাণ যা চায়, তা মিলে কৈ ? অতএব ইহা বাহিরের কথা। ইহার আগে যে সাধ্যের কথা আছে, তাহাই বল ?” রায় রামানন্দ কহিলেন,—“স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ করাই সাধ্যের সার।” শিষ্য। কি ভয়ানক কথা ! স্বধৰ্ম্মত্যাগ ধৰ্ম্ম ? স্বধৰ্ম্মাচরণ করাই কৃষ্ণভক্তি লাভের উপায় বল হইয়াছে,—আবার একই নিশ্বাসে বলা হইল, স্বধৰ্ম্মত্যাগ গুরু। স্বধৰ্ম্মাচরণ কৃষ্ণভক্তি লাভের উপায়,--কিন্তু স্বধৰ্ম্ম ত্যাগ সাধ্য সার,—এই দুইটি কথার পার্থক্য নাই কি ? শিষ্য। ইl, তা আছে। গুরু। কি আছে বল দেখি? : শিন্য। স্বধৰ্ম্মাচরণ করিলে কৃষ্ণ-ভক্তি-হীন জনের কৃষ্ণ o ভক্তি লাভ হয়। অর্থাৎ ঈশ্বর-বিমুখ নাস্তিকজনেরও ঈশ্বরে ভক্তি আইসে। আর স্বধৰ্ম্মত্যাগ সাধাসার ; সাধ্যের শ্রেষ্ঠ। م دr; : .