পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । ত্ৰৈগুণ্যবিষয় বেদ নিস্ত্রৈগুণ্যে ভবাৰ্জন। নিদ্বলো নিত্যসত্ত্বন্থে। নির্যোগক্ষেম আত্মবান। যাবানর্থ উদপানে সব্বত: সংগ্ল,তোদকে। তাৰান্‌ সৰ্ব্বেষু বেদেষু ব্রাহ্মণস্ত বিজানতঃ ॥ শ্ৰীমদ্ভবদগীতা-২য় অঃ, Cof “হে অৰ্জ্জুন ! বেদ সকল সকাম ব্যক্তিদিগের কৰ্ম্মফল প্রতিপাদক ; অতএব তুমি নিষ্কামী হও । তুমি শীতোষ্ণ সুখদুঃখাদি দ্বন্দ্বরহিত হও, নিত্য সত্ত্বগুণাশ্রিত হও। অলব্ধ বস্তু লাভ ও লব্ধ বস্তুর রক্ষণে যত্নশূন্ত হও এবং অনাসক্ত হও । যেমন ক্ষুদ্র জলাশয়ে যে সকল প্রয়োজন সিদ্ধ হয়, একমাত্র মহা হ্রদে সেই সকল প্রয়োজন সম্পন্ন হইয়া থাকে, সেইরূপ সমুদয় বেদে যে সকল কৰ্ম্মফল বর্ণিত আছে, সংশয়রহিত, বুদ্ধিবিশিষ্ট, ব্রহ্মনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ একমাত্র ব্রহ্মে তৎসমুদয়ই প্রাপ্ত হইয়া থাকেন।” কিন্তু এ কথা স্মরণ রাখিয়া বৈদিককৰ্ম্ম পরিত্যাগ করা, ধৰ্ম্মের তৃতীয় সোপান। প্রথম ও দ্বিতীয় সোপান অতিক্রম না করিয়া যে ব্যক্তি এই তৃতীয় সোপানে পদার্পণ করে, সে নিশ্চয়ই পতিত হইয়া কষ্ট পাইয়া থাকে। শিষ্য। স্বধৰ্ম্মাচরণ সময়ে মানুষের যাগ, যজ্ঞ, সন্ধ্যা, গায়ত্রী প্রভৃতি ধৰ্ম্মসাধনার কতকগুলি কাৰ্য আছে,— কিন্তু স্বধৰ্ম্মাচরণ পরিত্যাগ করিয়া তখন মানুষের সাধ্য কি ; অর্থাৎ তখন মানুষ কি প্রকারে সাধ্যের সাধনা করিবে ?