পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ \ף צס তাহার সহিত গোচারণে যাইত, তাহার সহিত নিকুঞ্জে বিহার করিত, কদম্বতলে দাড়াইয়া মোহন বঁাশরী বাজাইত,— যমুনার কালজলে নামিয়া কৃষ্ণের সঙ্গে সাতার কাটিত,— ব্ৰজবাসিনীগণের রূপ যৌবন লইয়া আনন্দ করিত, গান গাহিত, ফুল তুলিয়া মালা গাথিত। এ সকল তাহারাও করিত,-কৃষ্ণও করিতেন। কিন্তু কৃষ্ণ-মুখে তাহাদের মুখামুভব হুইত—কৃষ্ণ পুষ্পমালা গলায় পরিলে, তাহাদের . পুষ্পমালা গলায় পরার সাধ মিটিত, কৃষ্ণ ক্ষীর সর খাইলে, তাহাদের রসন পরিতৃপ্ত হইত,—কৃষ্ণ রাধার সনে বিহার করিলে, তাহদের অঙ্গ পুলকে পূর্ণিত হইত। কেন না, তাহারা কৃষ্ণপ্রেমের প্রেমিক। যাহার উপরে প্রেম হয়, তাহার মুখেই সুখ,—ইহাই প্রেমের লক্ষণ । কৃষ্ণ প্রধান,—কৃষ্ণ রাখালের রাজা, যে খেলা কৃষ্ণ ভালবসিতেন,-গোপবালকেরাও সেই খেলায় তৃপ্তিলাভ করিত। থেলিয়াই তাহারা সুর্থী হইত। এ জগতাটা এক মহা খেলার ঘর। ভগবানের লীলাস্থলী। দার্শনিকতত্ত্বে বা বিজ্ঞানের কুটার্থ লইয়া যতই আন্দোলন আলোচনা করিয়া মাথার ঘাম পায়ে ফেলা যাউক,—আসল কথা কিন্তু লীলাময় লীলা করিবার জন্য এই জগত-প্রপঞ্চের স্বষ্টি করিয়াছেন। তিনি এই জগতটা লইয়া খেলা করিতেছেন। আমরা তাহার খেলিবার সামগ্ৰী—খেলিয়াই মরিতেছি। দীন দুঃখীর অনশনের দীর্ঘশ্বাসই বল, আর