পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१० কাস্তাপ্রেম । [ ৩য় অঃ হইয়া তাহাকে পাগল করিয়া তুলে –নিজের প্রকৃতি ভুলাইয়া দেয়, প্রকৃত সতী ভাৰ্য্যার প্রেম যথার্থ আত্মত্যাগ। স্ত্রী, স্বামী-প্রেমে মগ্ন হইয়া জলন্ত চিতায় শয়ন করে,—তাহার আত্মজ্ঞান থাকিলে কি সে তাহ পারে ? প্রেমে আপনহারা হয় – কেবল প্রেমিকের ভাবনাতেই তাহার হৃদয় ভরিয়া যায়। আপন ভুলিয়া, সৰ্ব্বস্ব দিয়া পত্নী পতিকে পূজা করিয়া থাকে। তাহার জীবন, যৌবন, রূপ, রস, আহার, বিহার সমস্তই তখন স্বামীর জন্য। তাহার আন্দার, তাহার অভিমান, তাহার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম সমস্তই স্বামীর জন্য ! স্বামীর যাহা তাহা তাহার,– তাহার যাহা তাহ স্বামীর ; সন্তান হইলে সমান স্নেহ, সমান বাৎসল্য এমন হৃদয়ে হৃদয়, প্রাণে প্রাণ, ত্বচে ত্বচু, অণু অণুতে সম্বন্ধ । আর কোথায় ? প্রেমিক স্ত্রী স্বামীর ছায়ার ন্যায়—কায়৷ সে কাজে রত, ছায়াও তাহাই করিয়া থাকে। স্বামী যাহতে সুখী, স্ত্রী সৰ্ব্বন্তঃকরণে তাহাই করিয়া থাকেন। এক দণ্ডের বিরহ অনন্ত যাতনা প্রদান করিয়া থাকে,— · একটু মুখ অবহেলা প্রাণে প্রলয়ের আগুণ সৃষ্টি করিয়া দেয়, ডাকিয়া একটু সাড়া না পাইলে নয়নাসারে দৃষ্ট রোধ করিয়া বসে, অন্তের সহিত হাস্ত পরিহাস করিতে দেখিলে অভিমানের অনলে হৃদয় দগ্ধ হইয়া যায়। মুহূর্তের বিরহে জগৎ শূন্ত-অগ্নিময় বোধ হয়। যেখানে শোভা - যেখানে সৌন্দৰ্য –সেই স্থানেই আগুণ। গ্রা