পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপীভাব। { ৩য় অঃ I t . . . . তছি, এত সাধিতেছি, এত কঁাদিতেছি—তবু তুমি প্রাণের নিকটে আসিতেছ না,—তুমি না আসিলে, তুমি না কথা কহিলে, তুমি না পার্থে দাড়াইলে, আমার প্রাণ যে কি করে, তা ত তুমি জান না,—জানিবে कि করিয়া ? তোমার যে অনেক আছে,—আর আমার কেবল তুমি। তাইতে ত ইচ্ছা করে, এবার মরিয়া তুমি হইব,—তোমাকে আমি করিব। তাহা হইলে বুঝিতে পরিবে, প্রেম করিয়া দেখা না পাইলে,—তোমায় ডাকিয়া কাছে না পাইলে, প্রাণে কি জালা জলে। এই ভাবে যে ঈশ্বরাহুসরণ, তাহার নামই রাগমার্গ। এই রাগমার্গের সাধনা প্ৰবৰ্ত্তনাৰ্থ ব্রজলীলা। ব্ৰজগোপীগণ এই রাগমার্গের সাধিক। তাহারা স্বামী, পুত্র, কুল, মন কিছুই চাহে না,—চাহে কৃষ্ণকে । কিন্তু তার মধ্যেও এক কথা আছে। একেবারে কুল ছাড়িয়া, সংসার ছাড়িয়, বৈধ বিচার ছাড়িয়া বনে বনে ভ্রমণ করা বা বাঞ্ছিতের পাশে পাশে ঘুরিয়া বেড়ানও ঠিক রাগের পথ নহে। এক সময় শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব রূপসনাতনকে এক পত্র লেখেন। জগন্নাতন তখন গৌড়েশ্বরের কর্মচারী। কিন্তু জন্ম দয়াভরের সাধন-প্রতিভায় তাহাদের প্রাণে রসের উচ্ছা উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়াছে—এদিকে সংসারবন্ধনও আছে। প্রাশের পিপাসার তাহার গৌরাঙ্গদেবকে অনেক করিয়া ক্লখিলেন যে, বিষয়-শৃঙ্খলণ্ড ছিড়তে পারিতেছি না, কিন্তু