পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१भ श्रृं: ] রসতত্ত্ব ও শক্তিসাধন।। ৪২৪ এইরূপ সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাওয়া যায়। স্ত্রীত্ব ও পুরুষত্ব এক একটি শক্তি, যাহা দ্বারা স্ত্রীদেহ স্ত্রী-আকারে এবং পুরুষদেহ পুরুষ-আকারে গঠিত হইতেছে, তাহাই স্ত্রীত্ব আর পুরুষত্ব,—তাহাই এক একটি শক্তিবিশেষ। তবে অবশুই উহা তড়িৎ চুম্বকাদি শক্তির ন্তায় স্থল শক্তি নহে, কিন্তু স্বক্ষামুকুন্নতম পদার্থ এবং নিতান্ত অবিপশ্চিতের এককালেই অনভিজ্ঞ বিষয়। বাস্তবিক ঐ তাড়িতাদি শক্তিও । স্ত্রীত্ব-পুরুষত্ব শক্তির স্থলতম রূপান্তর মাত্র। সংসারে যত শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়, তৎসমস্তই স্ত্রীত্ব ও পুরুষত্ব। ঐ দুইটি শক্তিই পরস্পরের ভবাবিভব চেষ্টায় বা আত্মলাভের উদ্দেশু্যে পরম্পরে আলিঙ্গিত থাকিয়া নানা স্থানে নানা ভাবে বিকশিত হয় এবং তদ্বারা নিখিল ব্রহ্মাণ্ডের স্বষ্টি, স্থিতি ও লয় কাৰ্য্য সম্পন্ন করে । তবে আমাদের এস্থলে প্রাণীজগতের স্ত্রীত্ব আর পুরুষত্ব লইয়াই কথা,—অতএব জড়জগৎ পরিত্যাগে তদালোচনাই করা যাইতেছে । Խ যে স্ত্রীত্ব আর পুরুষত্বের কথা বলা হইল, ঐ স্ত্রীত্ব আর পুরুষত্ব শক্তি আপনার অস্তিত্ব রক্ষা এবং পরিবৃদ্ধির নিমিত্ত সৰ্ব্বদাই পরম্পরের আলম্বনে চেষ্টা করিতেছে। তদারী: উভয়েরই তেজ ও বলের বৃদ্ধি হইয়া থাকে। সেই ওজস্বিনী শক্তিদ্বয়ই মানব মানবীকে একীভূত করে। লৌহখণ্ডদ্বয়ে । পরিস্ফুরিত বিরুদ্ধ চুম্বকশক্তিৰয় যেমন পরস্পরের সংমিলনের ইচ্ছায় আলম্বিত লৌহন্ধয়কে সঙ্গে করিয়া সংমিলিত হয় ;