পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা । 8ፃ » মহেশ্বরকে পরিতুষ্ট করিবে ও সৰ্ব্বদা তাহাকেই শরণরূপে প্রপন্ন হইয়া মন, বাক্য, দেহ ও কৰ্ম্মের দ্বারায় তাহারই পরিকল্প করিতে হইবে। মন তাহারই ধ্যান করিবে, বাক্য র্তাহারই গুণাথ্যাপন—র্তাহারই মহিমা বর্ণনা করিবে—অধিক কি, যাহ। কিছু অনুষ্ঠান করিবে, তৎসমস্তই তদৰ্থ ইহা মনে করিবে। নিজের নিমিত্ত—আত্মভোগের উদ্দেশে কোন ক্রিয়ারই অনুষ্ঠান করিবে না। এই প্রকারে শৈবাচারের অনুষ্ঠান করিতে করিতে সাধক কৃতার্থতা লাভ করিতে পারে । শৈবাচারে পশুহিংসাদি দোষ নিবৃত্ত হইয়া যায়, সুতরাং তখন চিত্ত প্রশান্ত হয় এবং ভগবান মহেশ্বরে আত্মসমর্পণ করিতে করিতে ক্রমশঃ তন্ময়ভাব দৃঢ়বদ্ধ হইতে থাকে, অতএব বেদাচার ও বৈষ্ণবাচার অপেক্ষাও শৈবাচার শ্রেষ্ঠ । তৎপরে দক্ষিণাচার,— ইদানীং শৃণু বক্ষ্যামি দক্ষিণাচারমব্রিজে। বস্ত স্মরণমাত্রেণ সংসারামুচ্যতে নর: | “বৰ্ত্তমানে দক্ষিণাচার-বিধি বলিতেছি, যাহার স্মরণমাত্রেই মানব সংসার হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে।” প্রবর্তকে ইয়মাচারঃ প্রথমং দিব্য বীরয়োঃ । եր অতস্তেভ্য: কুলেশনি শ্রেষ্ঠেইসে দক্ষিণ: স্মৃত: ॥ "দক্ষিণাচার দিব্য ও বীরভাবের প্রবর্তক। সাধকের দক্ষিণাচারে কৃতকৃত্যতা হইলেই, ক্রমে বীর ও দিব্যভাবের t