পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 8S পূৰ্ব্বে করিয়াছি,-হংস-শাবকের যে সহজাত সংস্কার, যাহার জন্ত সে জলে ভাসিতে গিয়াছে, সে সংস্কার তাহার দেহের নহে বলিয়াছেন–কিন্তু আত্মার হইলে, তাহার আত্মা তৎপূৰ্ব্ব জন্মে হয়ত মনুষ্য ছিল, নয়ত একটি ক্ষুদ্র স্থলচর পক্ষী ছিল,—সে আত্মার জলে ভাসা সংস্কার হইবে কেন ? তাহার হয়ত, আকাশে ভ্রমণ, সুস্বাদু ফল ভোজন, সুস্নিগ্ধ বায়ুসেবন প্রভৃতির কামনা-বাসনা ছিল,তাহা হইলে সে কৰ্ম্ম কোথায় যাইবে ? .. গুরু । আমি তোমাকে পাতঞ্জল দর্শনের যে টুকু শুনাইয়াছি, তাহাতেই উহার উত্তর হইয়া গিয়াছে,—তথাপি পুনরায় বলিতেছি,—বাসনা উপযুক্ত অবস্থা ও ক্ষেত্ৰ পাইলেই প্রকাশ পাইয়া থাকে । যে সকল বাসনার প্রকাশের উপযুক্ত অবস্থা আসিয়াছে, তাহারই কেবল প্রকাশ পাইবে। অবশিষ্ট গুলি সঞ্চিত হইয়া থাকিবুে। তুমি যদি দেব-দেহ ধারণ কর, তবে কেবল শুভ গুলিই প্রকাশ পাইবে ; কারণ, তাহদের প্রকাশের উপযুক্ত অবসর আসিয়াছে। যদি তুমি পশুদেহ ধারণ কর, তাহ হইলে কেবল পাশব বাসনাগুলিই আসিবে। শুভ বাসনাগুলি তখন অপেক্ষা করিতে থাকিবে । ফলকথা —বাহিরে উপযুক্ত অবস্থা পাইলে বাসনা প্রকাশ পাইয়া থাকে। সংস্কৃতে একটি প্রবাদ বাক্য প্রচলিত আছে যে,—“যত্রাকৃতি স্তত্র গুণা: বসন্তি ।” যেমন আকৃতি, তেমনই গুণ হয় ।