পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । (2○○ }দহ রজোবিন্দুরূপী প্রকৃতি ও পুরুষের সংমিলন করিতে পারিলে জীবের আত্মসম্পূৰ্ত্তি লাভ হইয়া থাকে,–এবং তাহার যে আকাঙ্ক্ষা, তাহ নিভিয়া যায়,—যোগী তখন আত্মজয়ী হইয়া পড়ে। মানুষ যখনই জন্মিয়াছে, যখন ক্রম বিকাশের মহিমায় মানুষ হইয়া গিয়াছে,—তখনই তাহার প্রাণে এক আকর্ষণ জন্মিয়া বসিয়াছে । জীবমাত্রেরই ঐ আকর্ষণ আছে,—কিন্তু তাহাদের ক্ষণিকাকর্ষণ। জীবপ্রবাহ বৃদ্ধির ক্রিয়া-বিশেষের আকর্ষণ,—আত্মসম্পূৰ্ত্তির অনুভূতি । কিন্তু মানুষের সে অনুভূতিও আছে, আকর্ষণও আছে,— আছে, পূর্ণমাত্রায় ; কেন না, মানুষ উন্নত জীব। মানুষের প্রজ্ঞাশক্তি বিদ্যমান আছে,—প্রজ্ঞাশক্তির বলে মানুষ বুঝিতে পারে, জানিতে পারে—এবং চেষ্টা করে, যে শক্তির উন্নতি করিতে দিবানিশি প্রাণের আকুল আকাজক্ষা, সেই শক্তি হৃদয়ে লইয়া বসাইব । তৃষ্ণা হইলে অন্যন্ত জীব হয় নদীতে নয় সরোবরে ছুটিয়া থাকে,—মানুষ পাত্র প্রস্তুত করিয়া জল আনিয়া গৃহে রাখে, যখনই তৃষ্ণ পায়, গৃহস্থিত পাত্র হইতে জল ঢালিয়া পান করিয়া তৃষ্ণ নিবারণ করে ; –জলের জন্ত নদী বা পুষ্করিণীতে দোঁড়ায় না। বিন্দুপাত হ’লে মৃত্যু হয়।—বিদুধরণে আধাত্মিক জীবনের উন্নতি হয়, আত্মিক জীবন পূর্ণতা লাভ করে,—মানুষ তাই তাহার ক্ষয় নিবারণ করিতে যে উপায় অবলম্বন করা উচিত, তাহাই করিতে সাধনা করে। আধ্যাত্মিক জীবনের উন্নতি করিতে—