পাতা:রাজা সাহেব (২য় অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজা সাহেব।
৫১

 এসিণ্টেণ্ট সেক্রেটারীর সহিত এইরূপ.. দুই চারিটা কথা হইবা পরই মন্ত্রী মহাশয় সেই কয়বার গৃহ পল্লিত্যাগ করিয়া আপনার বাসা-অভিমুখে প্রস্থান করিলেন।

 যাঁহারা রাজা মহাশয়ের সহিত তাল খেলা করিয়া এক দিবসেই লক্ষ টাকার সংস্থান করিয়া লইলেন, তাঁহাদিগকে লক্ষ্য করিয়া দাওয়ানজী মহাশয় কহিলেন, “এইরূপ ক্রীড়ার রাজা মহাশয়ের মনের গতি কতদিবস স্থির থাকিরে, তাহা বলিতে পারি না। এই সময়ে কিছু সংস্থান করিয়া লউন। রাজা মহাশয়ের অগাধ টাকা; সুতরাং ইহাতে তাঁহার অধিক কিছু ক্ষতি হইবে না, অথচ আমরা পাঁচজন এই সুযোগে কিছু উপার্জন করিয়া লইতে পারি।”

 দাওয়ানজী মহাশয়ের কথা শ্রবণ করিয়া উঁহাদিগের মধ্য হইতে একজন কহিলেন, “আপনার সম্মুখে আপনার মনিবের নিন্দা করা উচিত নহে। আমরা বিস্তর বিস্তর মুর্খ দেখিয়াছি, কিন্তু আপনার রাজা সাহেব সদৃশ মূর্খ ব্যক্তি এ পর্যন্ত আমাদিগের নয়নগোচর হয় নাই। বড়মানুষ হইলেই কি এইরূপ মূর্খ হইতে হয়?

 দাওয়ান। আমার মনিব যে সকল কার্য করেন, আছে তাঁহাকে মুর্খ বলা যাইতে পারে না; চলিত কথায়, উহাকে বড়মানুষি কহে। চিরকালটা পল্লীগ্রামে রাজত্ব করি ইহাকে জীবন অতিবাহিত করিতে হয়। সেই সকল স্থানে যে সকল লোক ইহার নিকট গমন করিতে পারে না; সুতরাং এরূপভাবে অর্থ নষ্ট করিবার সুযোগও হয় না। কলিকাতা আসিয়া যে কয়দিবস অবস্থিতি করেন, সেই