পাতা:রাজা সাহেব (৩য় অংশ) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
দারােগার দপ্তর, ১৪৩ সংখ্যা।

নচেৎ বস্ত্র লইয়া দোকানদার আপন দোকানে চলিয়া আসিবেন।” দোকানদার হইয়া একথা শুনিবার পর আর কোন ব্যক্তি স্থির থাকিতে পারে? প্রায় এক হাজার টাকা মূল্যের চারি পাঁচখানি ভাল ভাল শাঢী লইয়া তৎক্ষণাৎ ভগবান দাসের সহিত সেই রাজবাটীতে গমন করিলাম। বাড়ীর অবস্থা দেখিয়া এবং লোকজন প্রভৃতির অবস্থা দেখিয়া আমার মনে প্রত্যয় হইল যে, প্রকৃত রাজা না হইলেও কোন একজন বড়লোক আসিয়া এই বাড়ীতে যে বাস করিতেছেন, তাহার আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। ভগবান দাস ক্রমে আমাকে মন্ত্রী মহাশয়ের নিকট লইয়া গেল। মন্ত্রী মহাশয় রাজা মহাশয়কে সংবাদ প্রদান করিলে তিনি অন্তঃপুর হইতে বাহিরে আগমন করিয়া আমার সহিত নানাপ্রকার কথা বার্তা কহিলেন, এবং পরিশেষে আমার নিকট হইতে শাটী কয়েকখানি লইয়া প্রথমে তিনি উহার মূল্য জিজ্ঞাসা করিলেন। বলা বাহুল্য, সুযোগ বুঝিয়া সেই হাজার টাকা মূল্যের শাটী কয়েকখানির মূল্য দেড় হাজার টাকা বলিয়া দিলাম। তাহাতেও রাজা মহাশয়ের ভাব দেখিয়া বোধ হইল যে, শাটী কয়খানিই রাজা মহাশয়ের মনোনীত হইয়াছে। মনুষ্যের আশার কিছুতেই নিবৃত্ত হয় না। রাজা মহাশয়ের ভাবগতি দেখিয়া মনে করিলাম, সেই কয়খানিমাত্র শাটী ভিন্ন আরও অনেক দ্রব্য ইহার নিকট বিক্রয় করিতে পারি, এবং এই সুযোগে বেশ দশ টাকা লাভও করিয়া লইব। মনে মনে এইরূপ ভাবিতেছি, এরূপ সময়ে রাজা মহাশয় আমাকে কহিলেন, “আপনার আনীত শাঢী কয়েকখানি