পাতা:রাজেশ্বরী - শেখর মিত্র.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अरिज़ शृङ्का, अभल ऊँषांब्र সভ্যতার পারাপারে মাঝি হতে পারে কবি জলস্থলের মাঝখানে সেতু কবিতা। অতন্দ্র প্রহরী ডাক দেয় বন্দী তুমি জেগে আছো ? নিঃশঙ্ক চেতনায় কবির কণ্ঠস্বর পরমাত্মায়— ধংসযজ্ঞে নাবিকের নিপণ জাহাজ চালানো শধ শব্দ-ধম্মানির মাঝখান দিয়ে যাতায়াত নয় অনভবে অনুভবে মাটির কাছাকাছি। গহন্থের দিন কাটে, ঘর সংসার ফল সবজীর বাগান বকভরা অহংকারে বলতে পারে আমার আমার । কবি কি বলে? কবির কি বলার আছে মানষের ভিড় ঠেলা সংসারকে ; অনেক দাবীদার আছে—কবির কে আপনজন ? সংসারের প্রবাসী মানুষ কবি, অনেক ভিড়ের মধ্যে সে একা । নিঃসঙ্গ প্রতিনিধি—তব মানুষ, শব্দ-ধননি তাকে ঘিরে থাকে। সংসার ভুল বোঝে—অসম্মান-লাঞ্ছনার তিলক কপালে নীলকন্ঠ হয়ে ভাঁড়ের সংসারে দিন কাটায়। কবিতার কথা ভাবে । মানুষগুলো জয়োড়ী, ঘোড়ার লেজের দিকে ছোটে হহে করে ছটে যাওয়া মাতুর ধরন বাজাতে বাঙ্গাতে কাল ভৈরব ছটে আসে তারই মাঝে দাঁড়িয়ে দুই মানুষ হানাহানি করে মাদারী খেলার হাততালি পড়ে—মৃত্যুর খেলা জমে। কুরক্ষেত্র মানুষের রক্তে রক্তাক্ত— কবি আকাশের অরন্ধতী তারায় চোখ রেখে কি যেন বলে মানষে ডাকে কবিকে, দলের মানুষ না হলে তুমি ভিড়বে কোথায় ! কোন মানষের দলে যাবে? বিশাল পথিবীর আশ্রয় ছেড়ে কোথায় যাবে ? কবির ক্ষ্যাপামি, বাউন্ডুলেপনা সবই অধম – পরম গহন্থের সংসারে অসহনীয় অন্যায়।