পাতা:রাণী ভবানী - হারাণচন্দ্র রক্ষিত.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ । S) নবপ্রসুত কন্যাকে যে দেখিল, সে-ই শতমুখে প্ৰশংসা করিতে লাগিল।-“আহাঁ, কি রূপ! কি লক্ষণ ! রূপে সুতিকা-গৃহ যেন আলোকিত হইয়াছে!” সকলের মুখেই এই কথা। এক দল বলিল,-“না হইবে কেন ? আজি একে লক্ষ্মীবার, তায় মায়ের মহাষ্টমী পূজা ; এমন মণিকাঞ্চন-যোগ কি, হয় বলিলেই হয় ?” কেহ বলিল, “আহা, যেন সাক্ষাৎ লক্ষ্মী !” কেহ বলিল, “যেন ভগবতী!” কেহ বলিল, “যেন মা-অন্নপূর্ণা !”-এইরূপ যাহার মনে যে ভাবের উদয় হইতে লাগিল, সে, সেই ভাবেই সেই সদ্যঃপ্রসূত। কন্যার রূপের প্রশংসা করিতে লাগিল। গৃহমীর একজন নিকট-সম্পৰ্কীয়া প্ৰাচীন কহিলেন,-“আহাঁ, ম।-গৌরী যেন গিরিরাজের ঘর হইতে পথ ভুলিয়। বউএর কোলে ७gtअ८छ !' শিশু স্বাভাবিকই সুন্দর। স্থা লবিশেষে সৌন্দর্য্যের আধিক্য করিয়া, লোকে শিশুকে, দেব-দেবীর রূপের সহিত তুলনা করিয়া থাকে। পরন্তু এ ক্ষেত্রে সে তুলনা সার্থক হইয়াছে। আত্মারামদুহিতার,-“এই নবপ্রস্তুত কন্যার মুখমণ্ডলে কি এক অপূৰ্ব্ব করুণামিশ্ৰিত স্নগ্ধ-জ্যোতিঃ নিহিত রহিয়াছে যে, তাহা দেখিলে সেই ত্ৰিলোকজননী, সৃষ্টিরক্ষাকারিণী, সেই করুণাময়ী অন্নপূর্ণমূৰ্ত্তি মনে পড়ে। তাই, যে দেখিতেছে, সেই-ই প্ৰাণ খুলিয়া, সৰ্ব্বান্তঃকরণে শিশুর কল্যাণকামনা করিতেছে । সহানুভূতি মানুষের স্বভাবসিদ্ধ ধৰ্ম্ম । আিম করুণার কাঙাল মানুষ, করুণা দেখিলেই, সহজে, আদ্র হয়। করুণার সহিত মাধুরীর চির-মিশ্রণ। মধুরতা জগৎকে বশ করে। তাই কৃষ্ণভক্ত বৈষ্ণব, মাধুৰ্য্য-রাসের প্রাধান্য দেন। আত্মারাম-দুহিতা