পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33 মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবত-চরিত। দেশকে বিভক্ত করিয়াছিলেন । তাহার মধ্যে সরকার বাৰ্ব্বকাবাদ এবং সরকার পঞ্জার প্রভৃতি লইয়া, কতকগুলি পরগণাতে বরেন্দ্ৰ-ভূমির আয়তন। উহ, বঙ্গের প্রসিদ্ধ দ্বাদশ ভৌমিকের * মধ্যে তাহিরপুর ও সাতুলের ভৌমিকদ্বয়ের শাসনাধীনে ছিল । { তাহিরপুর ও সাতুলের ভৌমিকরাজাইয়ের অধিকার ব্যতীত, এই বিভাগে চৌধুরী নামক দুই একটা নিরীহ জায়গীরদারও ছিলেন । আচার, ব্যবহার এবং ভাষার ঘনিষ্ঠত, যে, বৃহৎ নদনদী এবং বিল আদির পরিচ্ছেদে ঘটিয়া থাকে, বরেন্দ্ৰ-ভূমির বহির্ভাগও তাদৃশ প্রাকৃতিক রেখায় বিচ্ছিন্ন ছিল। ইহার উত্তরদিকে দিনাজপুর ও রঙ্গপুর জেলার একটা সুদীর্ঘ বনবিভাগ | $. পূৰ্ব্বদিকে দুস্তর বিল-চলন, বিল-বকরী এবং করতোয় নদীকে নির্দেশ mo

  • তাহিরপুর, সাতুল, যশোহর ( যে স্থানে রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ছিল ), ভাওয়াল, বিক্রমপুর, স্বসঙ্গ, ভূষণ ( যশোহর জেলায় ), চন্দ্রদ্বীপ ( বাকল চন্দ্রদ্বীপ ), ভুলুয়, খিজিরপুর (নারায়ণগঞ্জের নিকট ) এবং দিনাজপুর এই একাদশটা ভৌমিকের সন্ধান পাওয়া যায় ।

{ এই ভৌমিকদ্বয়ের বংশ এককালে লোপ পাইয়াছে। সাতুলবংশের শেষ রাণী সৰ্ব্বাণীর মৃত্যুর পর, তাহার সম্পত্তি ভাতুড়িয়া প্রভূতি, রাজা রঘুনন্দনের হস্তগত হইয়াছিল । আর তাহিরপুরের বিখ্যাত রাজা কংসনারায়ণের বংশের নিদর্শন তাহিরপুর পরগণার ॥d৯ জানা অংশ, এই বংশের রাজা রণেন্দ্রনারায়ণ রায়ের ছিল । তাহার অভাবে তদীয় অবিবাহিত কস্ত। উমাদেবী ও তৎপর তাহার পতি আনন্দরাম রায়ের ভ্রাতা, বুদ্ধিমান ও প্রতিভাশালী বিনোদরাম রায় প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । এবং তিনিই বৰ্ত্তমান তাহিরপুর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। অবশিষ্ট । আন অংশ, নান কারণে হস্তান্তরিত হইয়াছে। সেই অংশে একটা দত্তক পুত্র ছিলেন ; অল্পদিন পূৰ্ব্বে র্তাহারও অভাব হইয়াছে। প্রবাদ আছে, বঙ্গদেশে, “সে সময়ে দ্বাদশ ভৌমিক ব্যতীত চৌদ্দ চৌধুরীও প্রবল ছিলেন। তাহার মধ্যে, রাজসাহী জেলায় কাশীমপুরের চৌধুরীগণ ভিন্ন, আর কোন চৌধুরী বংশের প্রাচীনত্বের নিদর্শন পাওয়া যায় না । উক্ত জেলায় ডাঙ্গাপাড়ার কায়স্থ চৌধুরীগণও আপনাদগকে চৌদ্দ চৌধুরীর একতর বংশীয় বলিয়া থাকেন। $ উত্তর বঙ্গ রেলওয়ের হিলি ষ্টেশনের পশ্চিম হইতে মালদহ জেলার নিতপুরের জলাভূমি, এবং ঐ ষ্টেশনের পূর্ব হইতে ময়মনসিংহ জেলার সুসঙ্গের পাৰ্ব্বতা প্রদেশ পৰ্য্যস্ত একটা কাল্পনিক রেখা'টানিলেই, বরেন্দ্র ভূমির উত্তর সীমা কল্পিত হইত্তে পারে । এই রেখার মধ্যে এখনও শালবন এবং বিল, খাল বিস্তর আছে । *