পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o . মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ఏ సె শিক্ষা এবং সংসর্গ-জনিত দোষ ত্যাগ করিয়া, গুণগ্রহণে পটুতা লাভ করা, পঞ্চমবধীয়া বালিকার পক্ষে কঠিন। আবার, মূল-প্রকৃতির পবিত্রত না থাকিলে, কেবল শিক্ষা কিম্বা সংসর্গে হৃদয়ের নিৰ্ম্মলতালাভও দুঃসাধ্য। অনুৰ্ব্বর ক্ষেত্রে, সুবীজ বপন করিলেও, সতেন্তু বৃক্ষ হয় না ; আর, উৰ্ব্বর ক্ষেত্রে, আসার বীজেও কোন ফল হয় না। কিন্তু, উৰ্ব্বর ক্ষেত্রে পুষ্ট অপুষ্ট মিশ্র বীজ ছড়াইলে, অপুষ্ট বীজে কিছু না হইলেও, অল্পমাত্র পুষ্ট বীজেই অনেক উপকার হয়। মানবের হৃদয়ক্ষেত্রেও সেন্ধপ দৃষ্টান্তের অভাব নাই। সকল পরিবারেই অল্প বিস্তর, সদসৎ, উভয়প্রকৃতির মনুষ্যই দেখা যায়। অথচ পরিবারস্থ শিশুগণ, একই পরিবারমণ্ডলীর মধ্যে পালিত হইয়া, কেহ ভাল, কেহ মন্দ কেন হয় ? ইহার তত্ত্বায়ুসন্ধান করিলেই, প্রত্যেক শিশুর ভিন্ন ভিন্ন প্রাক্তনজ মূলপ্রকৃতির প্রভাব মানিতে হয় ধনী সন্তানগণ, প্রায়শঃই আবিলচরিত্র দাসদাসীর রক্ষণে বাল্যজীবন অতিবাহিত করেন । সুতরাং রক্ষকদিগের হৃদয়ের সঙ্কীর্ণতা, দ্বেষ, হিংসা, কপটতা, লোভ, ভ্রান্তি, মিথ্যাভাষণ ইত্যাদি দোষগুলি, যে, তাহাদের রক্ষণাধীন শিশুদিগের হৃদয়ে সহজে অমুস্থ্যত इईद, তাহার আর বিচিত্র কি ? বালিকা শরৎসুন্দরীর গক্ষে, তাদৃশ রক্ষকের অভাব ছিল না। বরং পিতামাতার মেহাধিক্যে, তাহার যথেচ্ছাচারের বিস্তর সুযোগ ছিল। কিন্তু,মূলপ্রকৃতির নিৰ্ম্মলতায়, তিনি, অপোগও অবস্থাতেও, নানাকার্যে ভবিষ্যজীবনের ফুটায়ু পবিত্রতায়, সকলকে মুগ্ধ করিতেন। যেন আপনার হৃদয়ই তাহার প্রকৃত শাসক ছিল। • স্বর্ণকণামিশ্রিত ধূলিতে, পারদ সঞ্চালন করিলে, পারদ যেমন, ধুলায় নির্লিপ্ত থাকিয়াও স্বর্ণরেণুগুলি সংগ্রহ করে, সেইরূপ প্রাক্তনসস্তুত পবিত্র মূল প্রকৃতিও সদসৎ প্রকৃতির লোকের নিকট হইতে দোষবর্জন করিয়া