পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ g' মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। তাহার রক্ষক, তাহার হৃদয়ের সহিত মিশিয়া যদি, অতি সরল ভাবে ধীরে ধীরে জ্ঞাতব্য বিষয় বুঝাইয়া দেন, এবং একই কথা পুনঃ পুন: প্রশ্ন করিলেও ত্যক্ত না হইয়া, সাবধানে বারস্থার তাহার উত্তর প্রদান করেন, তবেই সে চরিতার্থ হয়। এইরূপে একদিকে বুদ্ধিমান রক্ষক, তাহাকে ভিন্ন ভিন্ন নূতন বিষয়ে উৎসাহী করিলে, অন্ত দিকে সুসঙ্গীদিগের কার্য ও খেলায় নিবিষ্ট হইলে, তাহার প্রকৃতি, অবশুই পরিবর্তিত হইবে। ক্রমে প্রস্তাবিত সৎসংসর্গের দৃষ্টাস্তে সুশীলতাই তাহার অভ্যস্ত হইবে ; অবশেষে সে দুষ্ট ব্যবহারের অবকাশ না পাইয়া ধীরে ধীরে শান্ত প্রকৃতিও লাভ করিবে। বরং পূৰ্ব্বে দুষ্টতা করিতে যে বুদ্ধিকৌশল চালাইত, সেই বুদ্ধিকৌশল সুশিক্ষায় প্রয়োগ করিয়া, কালে সে মহান আত্মোন্নতি লাভ করিতে পারে। শিশুরা, দৌড়াদৌড়ি করিলেই, দুষ্ট ব্যবহার হয় না। উহ। তাহাদিগের বাল্য ব্যায়াম, সুতরাং স্বাস্থ্যের অনুকূল । দুষ্টাভিসন্ধিতে অবাধ্যতাই দোষজনক। অতএব, শিশুদিগকে আদর করিয়৷ আহার যোগাইলে, কিম্বা রোগের সময় চিকিৎসা করাইলেই, অভিভাবকদিগের কৰ্ত্তব্য শেষ হয় न'। । তাহাদিগের মূল প্রকৃতির প্রতি ष्टि রাখিয়া, শরীরের দ্যায়, মনের সংবৃত্তিগুলিকে সুপথ্য দ্বারা সতেজ করা কর্তব্য। আর কুপ্রবৃত্তি নিস্তেজ হইয়া, ধৰ্ম্মপ্রবৃত্তিসকলের স্ফূৰ্ত্তিলাভ সম্বন্ধেও, তাহারাই সম্পূর্ণ দায়ী। দুঃখের বিষয়, যে, অনেক পিতামাতাই তাহাদিগের দায়ীত্ব বুঝিয়। উঠেন না। র্তাহারা বেতন দিয়া শিশুকে বিদ্যালয়ে পাঠাইয়াই,সন্তানের সুশিক্ষার দায়ে নিশ্চিন্ত হইয়া থাকেন। বরং অনেক গৃহে শিশুর শিক্ষায় ইহা হইতেও কুৎসিত উপায় প্রয়োগ হইয়া থাকে। শিশুর বিষয় বিজ্ঞানে ব্যগ্র হইয়া প্রম করিলে, অনেকেই “বালকের প্রলাপ” মনে করিয়া যা, তা, একটা উত্তরে নিরস্ত করেন। সময় সময়, বারম্বার প্রশ্নে