পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ૨ (t বিরক্ত হইয়া ধমক দিয়া, কিম্বা "ছেলে ধরা” “ঘুঘু" ইত্যাদির ভয় দেখাইয়া সুকুমারমতি শিশুকে ভ্রান্তিজালে নিক্ষেপ করেন। শিশু রোদন করিলে তাহাকে কোন ও দ্রব্য দিবার মিথ্যাভাণে প্রলোভিত করেন ; ফলত:শিশু যখন সেই দ্রব্য পাইবার নিমিত্ত আগ্রহ করে, তখন তাহার সঙ্গে নানাছল ব্যবহার করিতেও কুষ্ঠিত নহেন। কিন্তু তাহারা বুঝিতে পারেন না, যে, এই উপায়ে নিদোষ শিশুরা মিথ্যাকথা, ছল, প্রভৃতি সহজেই আয়ত্ব করিয়া ফেলে। ঠাকুরদাদা, ও দিদিমা জাতীয়গণ, রহস্তচ্ছলে, তরলপ্রকৃতি শিশুর অন্তঃকরণে, শত শত নীচ ব্যবহার ও কুৎসিত নীতি প্রবেশ করাইয়। থাকেন। সেই ক্ষণিক আমোদে যে তাহাদের সংস্কার কলুষিত হয়, তাহ কেহই চিন্তা করেন না। পূৰ্ব্বকালের সমাজে এরূপ দুনীতির এককালে অভাব না থাকিলেও, অনেক গুলি সুনিয়ম প্রচলিত থাকায়, তত অপকার হইত না । পুৰ্ব্বকালে পরিবারস্থ সকলেই, বালক বালিকাদিগকে সৰ্ব্বদাই সদাচার শিক্ষা দিতেন। গুৰুজনের প্রতি কৰ্ত্তব্য, বিনয়, নমতা ও স্বধৰ্ম্মে আমুরক্তি জন্ত দণ্ডে দণ্ডে শিক্ষা দিয়া, চরিত্র গঠনের সহায়তা করিতেন। পরোপকার, আতিথ্য, দেবভক্তি, ও স্ব স্ব কুলের পরিচয় শিক্ষার জন্ত,.শিশুদিগকে পুস্তক পাঠ করিতে হইত না । পরিবারস্থ লোকেই তাহা শিখাইতেন । সরল, সরল, উপদেশ পূর্ণ কবিতা শিক্ষা, একটা নিত্য কৰ্ম্মের মধ্যে পরিগণিত ছিল। কিন্তু, এখন আর সেরূপ সুবিধা নাই । পিতা প্রভৃতি অভিভাবকগণ, বিষয় কৰ্ম্মে ব্যাপৃত তাহারা, দিনের মধ্যে শিশুকে দুটা আদরের কথা বলিয়, একটা চুম্বন দিতে পারিলেই, আপনাকে ভাগ্যবান বিবেচনা করেন। মাতা প্রভৃতি গৃহলক্ষ্মীরা, যদিচ আর রন্ধনাদির দুৰ্ব্বহ ক্লেশ সহ করেন না, এবং পূৰ্ব্ব গৃহিণীদিগের দ্যায় অতিথি, অভ্যাগতদিগের সেবায়, কিম্ব পরিবারস্থ দাসদাসী পৰ্য্যস্ত