পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। & যাইতে চাহিবে না।” * এই বলিয়া তিনি, শরৎসুন্দরীকে পুঠিয়াতে রাখিয়া স্বয়ং কলিকাতা প্রস্থান করিলেন । শরৎসুন্দরী, পুঠিয়া যাইয়া কখনও স্বামীর ভবনে, কখনও বা পিতৃনিবাসে থাকিতে লাগিলেন । তাহার স্বামিয়ূহে কর্তৃপক্ষের কেহ না থাকায়, তিনি নয় বৎসরের বালিকা হইলেও এখন স্কৃহিণী । দেবসেবা, অতিথি সেবা, সমাগত আত্মীয় স্বগণদিগের অভ্যর্থনা, তাহাকেই করিতে হইত। কৰ্ম্মচারীরা, তাহাকেই সকল বিষয় জানাইতেন,— অনেক কার্য্যে তাহার অভিমত গ্রহণ করিতেন । কিন্তু, বালিক। তাহাতে প্রবীণার দ্যায় সাবধানত রক্ষা করিতেন। কোনও বিষয় উপস্থিত হইলে, প্রাচীন কৰ্ম্মচারীদিগের অভিপ্রায় এবং পূৰ্ব্বাপর পদ্ধতি জানিয়া লইয়া, অতি সাবধানে উত্তর দিতেন । কিন্তু, কোনও বিষয়েই স্বাধীনতার পরিচয় দিতেন না, কিম্বা পুরাতন কৰ্ম্মচারীদিগের ইচ্ছার প্রতিকূলতাও করিতেন না। বরং অনেক স্থলেই তাহার আপনার অভিমত প্রায় ব্যক্ত করিতেন না । কেননা তিনি, আপনার বয়স এবং ৰধুত্বভাৰ অনুসারে আপনার ক্ষমতা বুঝিতে পারিতেন। সাধারণ গৃহকার্য্যে পৰ্য্যস্ত সেই বিধবা ঠাকুরাণীর ছন্দানুবৰ্ত্তী হইয় আপনার বধুত্বরক্ষা করিয়া চলিতেন । সময় সময় স্বহস্তে পাক, পরিবেশনাদি কাৰ্য্যও করিতেন। র্তাহার শরীর, স্বভাবতঃ কিছু স্থল বলিয়া পরিশ্রমসাধ্য কার্য্যে তত সুপটু ছিলেন না। অথচ বসিয়াও থাকিতেন না । πα. "Η

  • যোগেন্দ্রনারায়ণ, বাহ বলিয়াছিলেন, কার্য্যেও তাহাই হইয়াছিল । বিশেষ কোন পাৰ্বণ কিম্বা উৎসব ব্যতীত, শরৎকুমারী পিত্রালয়ে যাইতেন না। আর যাইবার পূর্বে যোগেন্দ্রনারায়ণের অনুমতি জানাইতেন । যোগেন্দ্রনারায়ণ, এই বালিকার হৃদয় উত্তমরূপে পাঠ করিয়া বুঝিয়াছিলেন, যে, কোনও ঘটনাতেই বালিকার পবিত্রতার বিস্ত্র হইবে না । মুক্তরাং তাহার অনুমতিতে বালিকা, কোন কোন সময়ে, কতক দিনের জন্য পিত্রালয়েও অবস্থিতি করিতেন। н