পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩১৪
রামতন্তু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ।

ঢাকাতে আসিয়া তিনি প্রথমে পোগোস স্কুলে, তৎপরে জগন্নাথ কালেজে শিক্ষক রূপে প্রতিষ্ঠিত থাকেন। ১৮৬৯ সালের শেষে কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়। চাকা ব্ৰহ্মমন্দিরের প্রতিষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকাতে গিয়া ৪০ জনকে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত করেন। তাহার মধ্যে নবকান্ত চট্টোপাধ্যায় একজন ছিলেন। সে সময়ে ঢাকাতে কিরূপ আন্দোলন• উঠিয়াছিল, তাহ৷ অগ্রেই প্রদর্শন করিয়াছি।

ইহার পরে নবকাপ্ত বাবু নানা সৎকাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইতে লাগিলেন। তাহার ও উল্লেৰ করিয়াছি। তাহার ভবন আশ্ৰয়াথিনী হিন্দু বিধবা ও কুলীন ক্যা গণের আশ্রয়স্থান হইয়া উঠিল। তিনি কৌলীন্য প্রথা ভঞ্জন, বহু বিবাহ নিবারণ, মুরাপান ও দুর্নীতি নিবারণ প্রভৃতি সকল প্রকার দেশহিতকর কার্যে অবিরাম পরিশ্রম করিতে লাগিলেন। এইরূপ নানা সদনুষ্ঠানে রত থাকিতে থাকিতে বাঙ্গালী ১৩১১ সালের ১৫ই আশ্বিন তাহার জন্মদিনে ইহলোক পরিত্যাগ করিলেন।

ব্রাহ্মসমাজ ও নবকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের কার্য্য ব্যতীত এই কালের মধ্যে রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়ের কৌলীন্য-প্রথা নিবারণের চেষ্টীতে মানুষের মনকে উত্তেজিত রাথিয়াছিল, তাই৷ দশম পরিচ্ছেদে তাহার জীবন চরিতের মধ্যে উল্লেখ করিয়াছি। বিদ্যাসাগর মহাশয় যে রাজবিধির দ্বারা বহুবিবাহ নিবারণে। প্রয়াসী হইয়াছিলেন, তাহার পশ্চাতে যে রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াস বহু পরিমাণে ছিল তাহাতে সনেহ নাই। বিগাসাগর মহাশয় তাহার সেই উগামে শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের সেরাপ সহায়তা পান নাই। রাসবিহারী অশিক্ষিত হইয়াও তাহার উৎসাহদাতা হইয়াছিলেন বলিয়া তিনি শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের প্রতি হাড়ে চটিয়া গিয়াছিলেন। যাহা হউক পূর্ববঙ্গ হইতে বছদিন সর্ববিধ। সামাজিক উন্নতির অমুকুল বাক্য শোনা যাইতেছে।