পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । هفة भाव? कोई এখন আমাদিগকে বলিতে হইতেছে, বুদ্ধদেব বেদৰেৰী ছিলেন। জগত্যা বুদ্ধশিষ্যগণের গ্রন্থ দেখিয় মানিতে হইতেছে, স্বীকার করিতে হইতেছে, বুদ্ধ পৃথকৃচরিত্র এবং তাছার ধৰ্ম্মও পৃথগ্বিধ ছিল। কাষেই মানিতে হইতেছে, বুদ্ধশিবগণের গ্রন্থে যাহা লেখা আছে তাহা বুদ্ধের অভিমত। যাহাই হউক, বুদ্ধ বেদবিদ্বেষী ছিলেন कि না, তদ্বিষয়ে আমাদের বিশেষ সন্দেহ আছে। বোধিচর্যাবতার প্রভৃতি গ্রন্থে বুদ্ধের অভিমত পদার্থ ও ধৰ্ম্মের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বর্ণিত আছে। সেই সকল ধৰ্ম্মগ্রন্থের মধ্যে ধৰ্ম্মসংগ্রহখানি সৰ্ব্বপ্রাচীন ও সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । আমরা সেইজন্ত নাগার্জন কৃত ধৰ্ম্মসংগ্ৰহ গ্রন্থ হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের স্বত্রভূত প্রধান প্রধান অংশ সকল সংগ্ৰহ করিলাম। " প্রথমে রত্নত্রয়ের শরণ লওয়া। "রত্নত্ৰয়ং মে শরণম্” রত্নত্রয় আমার ত্রাণকৰ্ত্ত, এইরূপ স্থিরতর বুদ্ধি উৎপন্ন ন হইলে, বৌদ্ধ ধৰ্ম্মে অধিকারী হওয়া যায় ন। বৌদ্ধধৰ্ম্মে অধিকারী হইবার জন্ত প্রথমত: রত্নত্রয়ে বিশ্বাস ও ভক্তি স্থাপন পূৰ্ব্বক তদনু বৰ্ত্তন করিতে হয়। ইহারই অন্ত নাম ধৰ্ম্মগ্রহণ ও দীক্ষা । রত্নত্রয়— বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও সংঘ । সংঘ শব্দের অর্থ সন্ন্যাসীর দল । ত্রীশি তাবৎ কুশল-মুলানি । বোধিচিত্তোৎপাদ-আশয়বিশুদ্ধিরহংকার মমকারত্যাগক্ষেতি –বোধিচিত্তের উৎপাদ অর্থাৎ উৎপত্তি, অtশয় শুদ্ধি ও অহংকার মমকার ত্যাগ, এই তিনটী কুশল লাভের মূল অর্থাৎ নিৰ্ব্বাণ লাভের প্রধান উপায় । & জ্ঞানস্বরূপের অবরোধ " বোধিচিত্ত ” নামে খ্যাত। বোধিচিত্ত বিবরণ গ্রন্থে ইহার উপায়াদি বর্ণিত আছে। আশয়গুদ্ধি অর্থাৎ চিত্তস্থ হিংসাদিদোষংস্কারের নিরোধ বা বিনাশ। ফলিতাৰ্থ, চিত্তনৈৰ্ম্মল্য। অহংকার মর্মকার ভাগ, এ কথার অভিপ্রেতার্থ এইরূপ-বাস্তবপক্ষে আমি স্থিরতর বস্তু নহি, কিছুই নহি এবং কিছুই আমার নহে। এবংবিধ ভাবনার দ্বারা উক্ত দ্বিবিধ মিথ্যা দর্শনের বিনাশ সাধিত হইলে, তৎপ্রকর্ষে অহঙ্কার মমকার ত্যাগ করা श्झ.। সপ্তবিধাযুক্তরপূঞ্জ। তদুধৰা-বদন, পূজন, পাপ, দেশনা, অনুমোদন, মধ্যেষণা, বোধিচিত্তোৎপাদ, পরিণমন এই সাত প্রকার বা সপ্তাঙ্গ বৌদ্ধাক্তিমত্ত পূজা। বুদ্ধের সমীপে প্ৰণমাম্যহং ইত্যাদি বিধানে নতি ক্রিয় ময়ঠিত হইলে তাছা বন্দন আখ্যা প্রাপ্ত হয়। ধুপাদি প্রদান করিলে তাহী