পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbూ: রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র ভবিষ্যতের বিষয়ে ধ্যান করিব ও স্বপ্ন দেখিব । যে স্থানে বসিয়া এই কাজ করিতে হইবে, ইহাই সেই সঙ্কল্পিত সারস্বত ভবন ; এই সরস্বতী মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য লক্ষ্মীদেবীর বরপুত্ৰগণের দ্বারদেশে যদি হত্য দিতে হয়, তাহার জন্য আমাদিগকে প্রস্তুত হইতে হইবে, দ্বারবানের অৰ্দ্ধচন্দ্রের আশঙ্কা করিলে চলিবে না। গৃহে গৃহে মুষ্টিভিক্ষার জন্য আমাদিগকে প্রস্তুত হইতে হইবে। এই মুষ্টিভিক্ষা সংগ্ৰহ করিয়া আমরা সরস্বতী মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করিব। দরিদ্র বঙ্গদেশ ; এবং দরিদ্র দেশের সাহিত্যসেবী আমবা আটালিকা নিৰ্ম্মাণ করিতে না পারি, আপাততঃ একখানা ক্ষুদ্র কুটার নির্মাণেরও উপাদান সংগ্ৰহ করিতে পারিব। এবং এই কুটার নিৰ্ম্মাণেব প্রস্তাব লইয়াক্ট , আমি বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের পক্ষ হইতে আপনাদের নিকট উপস্থিত হইয়াছি। ভাগলপুরে সমবেত সাহিত্য-সম্মিলনের সম্মুখে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ সবিনয়ে এই প্রার্থনা উপস্থিত করিতেছেন। কাশিমবাজার সম্মিলনে যে সঙ্কল্প হইয়াছিল, আপনার সেঙ্গ সঙ্কল্পসমাধানে সাহায্য করুন । সাহিত্য-পরিষৎ ইচ্ছা করেন যে, সেই সঙ্কল্পিত সারস্বত ভবন রমেশ-ভবন নামে বঙ্গদেশে প্রতিষ্ঠিত হউক। স্বর্গগত রমেশচন্দ্র দত্তের স্মৃতি-নিদর্শনরূপে এই রমেশ-ভবনের ভিত্তি বাঙ্গালীর হৃদয়ের উপর প্রতিষ্ঠা লাভ করুক। বঙ্গয় চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম বৎসবের প্রথম মাসে বঙ্গমাতার স্বসন্তান রমেশচন্দ্র যে দিন বঙ্গায়-সাহিত্য-পরিষদের প্রতষ্ঠা করেন, সাহিত্য-পরিষদের পক্ষপাতী বন্ধুগণ সেই দিনকে চতুর্দশ শতাব্দীর বাঙ্গালার জাতীয় ইতিহাসে নূতন পরিচ্ছেদের স্বচনাব দিন মনে করিয়৷ শ্লাঘাবোধ করেন। দুরন্ত কাল বমেশচন্দ্রের সহিত বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের ও বাঙ্গাল সাহিত্যের ঐহিক সম্পর্ক অকালে বিচ্ছিন্ন করিয়া দিয়াছে ; কিন্তু সাহিত্য-পরিষৎ বা বাঙ্গলা সাহিত্যের স্থত হইতে রমেশচন্দ্রের নাম কস্মিন কালেও লুপ্ত হইবে না। কেবল বাঙ্গালা সাহিত্য কেন, রমেশচন্দ্রের সর্বতোমুখী ক্ষমতার স্মরণ-নিদর্শনে বাঙ্গালী জাতির {চরদিন শ্রদ্ধাপ্রীতি অর্পণ করিয়। রুতার্থ হইবে। আমি সাহিত্য-পরিষদে আদেশক্রমে রমেশচন্দ্রের স্মৃতি বিষয়ে উদ্যোগী হইবার জন্য আপনাদিগকে আমন্ত্রণ করিতেছি। এই সরস্বত ভবন অপেক্ষ যোগ্যতর স্মৃতিনিদর্শন আর কিছু হইতে পারে না । বাঙ্গালার সকল প্রদেশের প্রতিনিধিগণ এই সভায় উপস্থিত আছেন ; বাঙ্গালা সাহিত্যের পক্ষ হইতে আমি তাহাদিগকে এই প্রার্থনা জানাইতেছি । সাহিত্যচর্চা হইতে রাষ্ট্রশাসন পর্য্যন্ত বিবিধ কার্য্যে যাহার শক্তি অব্যাহতভাবে প্রেরিত হইত, তাহার স্মৃতিরক্ষার জন্য বাঙ্গালার সমুদয় রাষ্ট্রকগণের নিকটও আমরা প্রার্থনা জানাইতেছি। রমেশচন্দ্রের কৰ্ম্মক্ষেত্র কেবল বঙ্গভূমির সীমামধ্যে নিবদ্ধ ছিল না ; তিনি কেবল বঙ্গের স্বসন্তান ছিলেন না, তিনি সমগ্র ভারতের স্বসস্তান ছিলেন। আমরা সেই রাষ্ট্রনীতিকুশল রমেশচন্দ্রের স্মৃতিরক্ষার জন্য ভারতবর্ষরূপ মহারাষ্ট্রের যাবতীয় অধিবাসীর নিকট প্রার্থী হইতেছি । আপনারা বঙ্গীয়-সাহিত্যসম্মিলনে সমবেত বঙ্গদেশের সাহিত্য-সেবকগণ, বঙ্গদেশের পক্ষ হইতে এই প্রার্থনা সমস্ত ভারতবর্ষের সম্মুখে উপস্থিত করুন। রমেশচন্দ্রের ভারতব্যাপী বন্ধুগণ, র্যাহারা কৰ্ম্মক্ষেত্রে তাহার সহায় ছিলেন, সমাজে তাহার সখা ছিলেন, গৃহে তাহার স্বর্থੋਂ