পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ኴ” রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস সহস্ৰ সহস্র টাকা ব্যয় করিয়া যুদ্ধস্থলে সংবাদদাতা পাঠাইয়াছেনঅথচ কোন সংবাদ আসিতেছে না,-ইহাতে বিরক্ত হইবারই কথা ! গত কয়েক সপ্তাহ হইতে প্ৰায় সকল সংবাদপত্রেই জাপানের নিন্দ প্ৰকাশ হইতে আরম্ভ হইল। লিওযাংয়ের যুদ্ধ সম্বন্ধেও আর কাহারও পূর্বভাব নাই ;-এরূপ জয়েও তাহারা জাপানের তেমন কোন প্ৰশংসা করিলেন না। যুদ্ধে কোটী কোটী টাকা প্রয়োজন হইতেছে ;-শীঘ্রই জাপানকে ইয়োরোপে টাকা ধার করিতে হইবে,-সুতরাং সুবুদ্ধিমান জাপ-রাজপুরুষগণ বুঝিলেন যে ইয়োরোপ ও আমেরিকার সংবাদপত্রগণকে হাতে রাখা কৰ্ত্তব্য ; তাহাই লিওযাং যুদ্ধের পর প্রধান সেনাপতি ওয়াম বাজধানী হইতে এই পত্ৰ পাইলেন :- “জাপান যে এই যুদ্ধ ন্যায়সঙ্গত করিতে বাধ্য হইয়াছেন, তাহা পূর্বেই প্ৰজামণ্ডলীকে অবগত করা হইয়াছে। জাপান ধৰ্ম্ম, জাতি, রীতিনীতির কোন পার্থক্য না দেখিয়া, সকলোব প্ৰতি সমব্যবহার করিতেছেন । এই যুদ্ধের একমাত্র উদ্দেশ্য-সাম্রাজ্য রক্ষা, প্রাচ্যে চির শান্তি স্থাপন, দেশে দেশে • সভ্যতা ও সুখ সচ্ছন্দতা বিস্তাব এবং সমস্ত জাতির হিত সাধন-এতদ্ব্যতীত জাপানের আর কোন অভিসন্ধি বা ইচ্ছা! नांछे ! ख्धांभों कबा बांग्र cश ঠিক এই নিয়মে বিদেশী সংবাদদাতাগণের সহিত কাৰ্য্য করা হইবে। যতক্ষণ না তাহারা সমর বিষয়ক গুপ্ত ংবাদ প্রচার করিবেন, ততক্ষণ তঁহাদিগকে স্বাধীনভাবে সকল বিষয়ের সমালোচনা করিতে দেওয়া আবশ্যক। ;-ইহাতে জগৎ অবগত হইবে যে জগতের হিতের জন্যই জাপান এ যুদ্ধে নিযুক্ত হইয়াছেন।” এই পত্ৰ প্ৰকাশিত হইবার পর হইতেই সংবাদদাতাগণ অনেক স্বাধীনতা পাইলেন। তখন যুদ্ধের নানা বিস্তৃত সংবাদ নানা সংবাদপত্রে প্ৰকাশিত হইতে লাগিল । তবে ইয়োরোপের সকল সংবাদপত্রই রুষের পয়াজয়ে দুঃখিত। -তীদাহারা জাপানের জয়ে সুখী নহেন। ইচ্ছা!