পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

re রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । পারে ;-সকলেরই মনে এ বিশ্বাস উদিত হইয়া, তাহদের জীবনের এক নূতন পরিবর্তন সংঘটিত হইল। আর রুষ ! সমস্ত রুষ রাজ্যে এ পরাজয় সংবাদ উপস্থিত হইলে, এক হুলুস্কুল পড়িয়া গেল। ক্ষুদ্র জাপানের নিকট পাবাজয় স্বীকাব ! ইহা প্ৰাণ থাকিতে হইতে পারে না ! সমস্ত রুষ জাতি বদ্ধ পবিকর হইল। সেইদিন সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী অমাত্যবগে পরিবেষ্টিত হইয়া উইণ্টার প্যালেস নামক প্ৰাসাদের গির্জায় সকলে জানু পাতিয়া বসিয়া জয়ের জন্য কাতরে ভগবানকে ডাকিলেন ! সে দৃশ্যও অতি মনোরম! চতুর্থ পরিচ্ছেদ। যুদ্ধের পর। রুষ গভর্ণর জেনাবেল জাপানেব সহসা এই অভূতপূর্ব জয়লাভে যে নিতান্ত বিচলিত হইয়া পড়িবেন, তাহাতে বিস্ময়েব কাবণ নাই। তাহাব তখনও জয় আশা ত্যাগ কবিবাব কোনই কাবণ ছিল না। তখনও পোর্ট আর্থার বন্দরে কতকগুলি যুদ্ধপোত কৰ্ম্মক্ষম আছে;-কতকগুলিকে মেরামত করিয়া কাজেব মত কবিয়া লইবাবও সম্ভাবনা রহিয়াছে। এতদ্ব্যতীত ভুডিভস্টক বন্দরে গ্রামবই ও বোসিয়া নামে দুই অতি বৃহৎ যুদ্ধপোত আছে। তাঁহাদেব সঙ্গে রুবিক ও বোগাটির নামক আরও দুই খানি অতি পবাক্ৰান্ত জাহাজও আছে। আডমিরাল সাকেলবার্গ এই সকল জাহাজের সেনাপতি ছিলেন। রুষ গভর্ণর জেনাবেল জানিতেন যে এই সকল জাহাজ নিশ্চিন্ত বসিয়া নাই। তাহাবা কোন না কোন প্রকারে জাপানী জাহাজদিগকে কতকাংশে জখম কবিতে পরিবে ; কিন্তু তিনি ইহাও জানিতেন যে জাপানও নিরস্ত থাকিবে না ; আবার সুবিধা