পাতা:রেখা-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেখা । 이 শিক্ষা খুব বেশি। যে অমুতাপ ধৰ্ম্ম-মন্দিরে হয় না, সে অনুতাপ কারাগুহে, বেশু্যালয়ে, রুগ্ন শয্যায়, পাপ প্রকোষ্ঠে সৰ্ব্বদাই হইতেছে । ধৰ্ম্ম-মন্দিরে তোমার উপদেশমুক্তারাশি বৃথা নিক্ষেপ করিয়া আসিতেছ, পাপীর গতি কুদিক হইতে ফিরিতেছে না ; কিন্তু নিতান্ত জঘন্ত বৃত্তির সেবা করিয়া—নিতান্ত জঘন্ত স্থলেও মনুষ্য অপূৰ্ব্ব শিক্ষা পাইতেছে। এইরূপে জীব জন্ম হইতে জন্মান্তরে প্রবেশ করিয়া ঈশ্বর-সন্মুখীন হইতেছে। এই জীবজগতের কার্য্য-প্রবাহ সেই পৰ্য্যন্ত—যে পর্য্যন্ত হারানিধির উদ্দেশ না হইয়াছে, যে পৰ্য্যন্ত আলোরেখার দ্যায় স্বৰ্য্যমণ্ডল হইতে অবতীর্ণ হইয়া, অন্ধকারে হার হইয়া, পাপপঙ্কে নিমগ্ন হইয়া, অবশেষে জীব স্বস্থান স্থৰ্য্যমণ্ডলে প্রবেশ না করিয়াছে ! যোগিগণ ভূত-ভবিষ্যৎ প্রত্যক্ষ করেন ; কিন্তু আমাদের সে শক্তি নাই। স্বতরাং জন্মান্তর সম্বন্ধে যুক্তি দ্বারাই মীমাংসায় পৌছিতে হইতেছে । ডারউইন বহির্জগতে ক্রমবিকাশ (Evolution) দেখিয়াছেন ; নানাবিধ অবয়ব অতিক্রম করিয়া মনুষ্যজাতি বৰ্ত্তমান মূৰ্ত্তি প্রাপ্ত হইয়াছেন। সমস্ত মনুষ্যজাতি সম্বন্ধে এই কথা সত্য —প্রত্যেক ব্যক্তিবিশেষের জীবনেও এই একই কথা সত্য । মাতার উদরে সস্তান প্রথমতঃ উদ্ভিদের মত, তৎপর সপ-মৎস্ত ইত্যাদির আকারে থাকিয়া, ইহার পরে সলাঙ্গল কুকুরছানা কি মৰ্কটের আকার অতিক্রম করিয়া, শেষে মনুষ্য-শিশুর অবয়বের ছাঁচ ধারণ করে। আধুনিক বিজ্ঞানবিং পণ্ডিতেরা বলেন,— জীব*স্বষ্টিরাজ্যে এক ছাচে ঢাল। বৃক্ষ ভূসংলগ্ন ময়ূন্য, মৎস্ত সস্তরণশীল মনুষ্য, পক্ষী উড়ডীয়মান মনুষ্য—এই ভাবে এক মনুষ্যজগতই জগতময়। মনুষ্য-আকার সেই জীব-দেহ-উদগমের চরম