শুনে বিবেকানন্দ নাই, কারণ পর্দাপ্রথা বা স্ত্রীলোেকদের স্বতন্ত্র বসিবার নিয়ম তথাঃ নাই। বর্ণনাগুলি ১৮৯৬ সালের হইতেছে, এখন অনেক পরিবর্তন হইতে পারে, কিয়দংশ মিলিতেও না পারে। সে সময় ঘােড়ার গাড়ী দুই প্রকার ছিল, এক Four wheelers ক্ৰম ( Brougham) এবং অপরগুলি ansom; এগুলি দুই চাকা বগি গাড়ীর ন্যায়, তবে গাড়ীর ঘেরাটোপ বা ছাদটা কাঠের তৈয়ারী। আরােহী বসিয়া সম্মুখে খােলা স্থান দিয়া সব দিক্ পরিদর্শন করিতে পারে এবং কোচম্যান (চালক) গাড়ীর পিছন দিকে ছাদের উপর বসিয়া ঘােড়ার লম্বা লাগামটা ছাদের উপর দিয়া টানিয়া লয়, গাং সহিস যেমন পিছনদিকে নীচুতে বসে, তাহা না হইয়া কোচ ম্যান পিছনদিকে উচু স্থানটীতে বসে এবং ছাদের উপর দিয়া লাগামটা ঘােড়ার সহিত সংযুক্ত হইয়া থাকে এরূপ গাড়ী অপর দেশে প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় না। পাঠকের ভিতর অনেকেই বিদেশের বর্ণনা জানিতে ইচ্ছা করেন, তাহাদের আচার নীতি ও নানা প্রকার কাৰ্যকলাপ জানিতে চাহেন, এই জ অপাসঙ্গিক হইলেও আবশ্যক বিবেচনায় এই স্থানে প্রদত্ত হইল । কারণ আনুসঙ্গিক বিষয় জানা না থাকিলে, স্বামীজী কি প্রকারে কাৰ্য করিয়াছিলেন ও দি কি ভাবে কাটাইতেন, তাহা বিশেষ উপলব্ধি করা যাইতে পারে না । স্বামীজী ও সারদানন্দ স্বামী মিস্ মুলারের গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করিতে লাগিলেন এবং বর্তমান লেখক তথায় গিয়া মিস মুলারের বাড়ী। উপস্থিত হইনে। গুডউইন কেবল সহরে রহিলেন। মিস্ মুলারের বাড়ীতে থাকিবার ঘর তত বেশী না থাকায় পার্শ্বের একটা বাড়ীতে বর্তমান লেখক রহিলেন, কিন্তু সর্বদাই তিনজনে একত্ৰ থাকিতেন। ১২