পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। পবর্গ ফল শিবসাযুজ্যকারণ পাশুপত যোগ জ্ঞাত হইবে। অথবা আত্মচিন্ত ত্যাগ করিয়া রাগবশতঃ রাজস বা তামস কৰ্ম্ম আচরণ করিলে তাহাতেই ফল ভোগ করিয়া মুক্ত হয়। সেইরূপ মুকুতকাৰী স্বর্গে ফলভোগ করিয়া সেই স্থান হইতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রাপ্ত হইয় মানবত্ব প্রাপ্ত হয়। অতএব ব্রহ্মই পরম সোঁখা ; ব্রহ্ম নিত্য ও সৰ্ব্বোত্তম ব্রহ্মেরই সেবা করিবে। ব্ৰহ্মই শ্রেষ্ঠ সুখদায়ক। বজ্ঞাচরণে অতিশয় পরিশ্রম, অতএব তাহাতে প্রবৃত্ত হুইবে না। যজ্ঞানুষ্ঠান করিলে পুনৰ্ব্বার মৃত্যুর বশ হয়, সেই হেতু মোক্ষই পরম মুখ । অথবা ধ্যানই শ্রেষ্ঠ, ব্রহ্মতত্ত্বপরায়ণ দিব্য বিশ্বাখ্য, বিশ্বতোমুখ, বিশ্বময় পাদশির ও গ্রীৰাযুক্ত, বিশ্বেশ, বিশ্বরূপী, বিশ্বগন্ধ, বিশ্বমাল্য, বিশ্বাশ্বরধর, প্রভু পুরুষকে দর্শন করিয়া অবস্থিত ধানযুক্ত মানবকে শত মঞ্চস্তরেও চুত করা যায় না। পুরুষ সূর্যকিরণ দ্বারা পৃথিবীতে সম্পতিত হইয়া জগৎ উৎপাদিত করেন এবং প্রলয়কালে উৎপাদন করেননা। সেই স্ক্ষা হইতে স্থঙ্ক, মহৎ হইতে মহান পুরাতন কবি অনুশাসিত নিরিস্ট্রিয় রুক্সৰণ আলিঙ্গনকারী নিগুণ, চেতনম্বরূপ, সৰ্ব্বগ সৰ্ব্বসার পুরুষকে যোগ দ্বারা দেখিবে, চক্ষুদ্বারা দেখিবে না। ঐ পুরুষের অনুগৃহীত মানবগণ অচল প্রকাশ এবং তেজে দীপামান পুরুষকে যোগে দর্শন করেন। পুরুষ পাণিপাদ উদর পাশ্ব ও জিহ্বারহিত অতীক্রিয় সুহুঙ্ক এবং এক মাত্র। ২৪—৪০ । তিনি চক্ষুশূন্ত হইয়া দর্শন করেন, কর্ণষ্ঠ হইয়া শ্রবণ করেন; তাহার অবোধ নাই এবং বুদ্ধিওলাই। তিনি সকলি জ্ঞান করিতে সমর্থ ও নিজে সকলের বেদ্য, তিনি সকলের শ্রেষ্ঠ মহানৃ পুরুষ। প্রকৃতি অচেতনা সৰ্ব্বগত হুঙ্কা প্রসবধৰ্ম্মিণী এবং সৰ্ব্বভূতগতা; ষোগিগণ এইরূপে তাহাকে দর্শন করেন। ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বতোভাবে পাণিপাদবিশিষ্ট, সৰ্ব্বতেভাবে চক্ষু মন্তক ও মুখযুক্ত, সৰ্ব্বতোভাবে শ্রুতিবিশিষ্ট এবং সকলকে আরবণ করিয়া অবস্থিত। যুক্ত ব্যক্তি সৰ্ব্বপ্রকারে সনাতন, সৰ্ব্বভুতের মধ্যে একমাত্র পুরুষ ঈশানকে যোগধারা জ্ঞাত হইলে মুগ্ধ হয় না । সেই ভূতাত্মা, মহাত্মা, পরমাত্ম, সৰ্ব্বাক্ষ্মা, অব্যয় ব্লন্ধের ব্যান করিলে মোহের বশীভূত হয় না। পৰল সৰ্ব্বমূৰ্ত্তিতে বিচরণ করলেও যেমন কেহ তাহাকে গ্রহণ করিতে পারে দ, জীৰও সেইরূপ সৰ্ব্বমূৰ্ত্তিতে থাকিলেও ভাখাকে গ্রহণ করা বায় না। জীব পুর অর্থাৎ শরীরে পঞ্চম বক্সে এজঙ্গ তাহাকে পুরুষ বলা S (t') স্বীয় পুণ্যকৰ্ম্মবশতঃ শুক্ৰশোণিতসংযুক্ত ব্রাহ্মণশোদিতে স্ত্রীপুরুষ-সঙ্গমে জন্মগ্রহণ করেন। অনস্তর কালে ঐ শুক্ৰশোণিত কললরূপ ; অনন্তর কালবশতঃ ঐ কালু বুদ্বুদরুপ হয়। চক্রপ্রমণে পীড়িত মৃৎপিণ্ড যেমন প্রথমে বিম্বাকার, অনন্তর ঘটাকার পরিগ্রহ করে ; এইরূপ আধ্যাত্মিক পঞ্চমহাভূতযুক্ত জীৰ বায়ুপূরিত হইয়া প্রথমে বিস্বাকার ও পশ্চাৎ পুরুষাকার ধারণ করে। ৪১–৫১ । তখন গর্ভস্থ জীব চিন্তা করে, আমি এখন যদি ধোনিত্যাগ করিতে পারি, তবে মহেশ্বরের শরণাপন্ন হই। যাবৎ জাতমাত্র বৈঞ্চব বায়ু স্পর্শ না করে, চিস্তাকরে যে গর্ভ নির্গত হইলেই আমি তাবৎ মহাদেবের পূজা করি। অনন্তর গর্ভে ধথারূপ যথাৰয়ৰ মানব জাত হয়। আকাশ হইতে বায়ু, বায়ু হইতে জল, জল হইতে প্রাণ, প্রাণ হইতে শুক্র উৎপন্ন হয়। রক্ত ত্রয়ন্ত্রিংশংভাগ, ও শুক্র চতুর্দশভাগ, উভয়ভাগকে অৰ্দ্ধফল করিয়া গর্ভনিষিক্ত হয়। অনন্তর গর্ভসংযুক্ত পঞ্চবায়ুম্বারা পরিবৃত হইলে পিতার শরীর হইতে প্রতিঅঙ্গে রূপ উৎপন্ন হয়। অনন্তর মাতার ভক্ত পীত, লীঢ় বস্তু নাভিদ্বার শরীর মধ্যে প্রবেশ করিলে প্রাণ সঞ্চার হয়, ঐ প্রাণই দেহীদিগের আধার। নব মাসাবধি পরিক্লিষ্ট হইয়া পুর্ণাবস্থায় গ্রীব আকুঞ্চিত হযু, বসতিস্থানজ বায়ু অপৰ্য্যাপ্ত হওয়ায় সকলগাত্র আবৃত, ইয়া পড়ে। এইরূপে নবাস গড়ে বাস করিয়া বায়ুখ হইয়া বােনিছিদ্র দ্বারা ভূমিষ্ঠ হয়। অনন্তর সেই দেহে স্বকৃত পাপকৰ্ম্মবশতঃ অসিপত্রবন, শান্মলি, ছেদন, তাড়ন, পুরুশোণিত ভক্ষণ, নিরয় প্রভৃষ্টি প্রাপ্ত হয়। যেমন জল প্রতাপিত হইলে সবুদু হয়, ঐরূপ জীব ছিন্ন ভিন্ন হইয়া ধাতনাস্থানগামী হয়। এই ও কারে জীবগণ স্বয়ং কুতপাপৰশত তপ্যমান হইয় অবশিষ্ট কৰ্ম্মস্থার চুঃখ বা সৎকর্শ্বের অবশিষ্ট ভাগ হেতু মুখ প্রাপ্ত হয়। সকল ত্যাগ করিয়া একাই গমন করিতে হইবে এবং একাকীই কৰ্ম্মফল ভোগ করিতে হইবে, অতএব মুকুত আচরণ করা উচিত, মরণকালে কেহই মালবের অনুগমন করে না, কেবল যে কাৰ্য্য কৃত হয়, ঐ কাৰ্য্যই অনুগামী হয়। পাপকারী মানবগণ, ধমনিকেতনে সৰ্ব্বদা স্বাতনা ভোগ করত স্বকৃত কর্মের আক্রোশ করে এবং বহু অনন্ত যাতন স্বারা বেদঙ্গ প্রাপ্ত হইয়া শুষ্ক হয়। কৰ্ম্ম, মন, ও বাক্যের খাঁর মানব যে বাহ করে, অহাতে অভ্যাসই মালবকে হরণ করিয়া থাকে, অতএব কল্যাণ আচরণ করবে। ৫৭-৬৫ । দেহিগণের পূর্ব কর্শ্বে নিম্বর DDS tt BBBBBDD DBB DB Bi DD DDDS DDDB BBB BB BBB BBBB DDD