পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ণভাগ পঞ্চদশদিন ও শুঞ্জের একমাস সম্পূর্ণশোঁচ। আমি এই সংক্ষেপে ধ্যগুদ্ধি ও অশৌচ কছিলাম। যতিগণের অশৌচ হয় না। হে দ্বিজগণ । ত্রেতাযুগ হইতে নারীগণের মাসে মাসে রজঃপ্রবৃত্তি ইয়া থাকে, সত্যযুগে সকংরজঃ প্রবৃত্তি হইত। তাৎকালিক মহাভাগগণ কুরুবৰায়ের স্তায় স্ত্রীগণের সহিত গমন করিত। হে সুব্রতগণ ! ত্রেতা প্রভৃতি দক্ষিণ ভারতবর্ষে বর্ণাশ্রম ব্যবস্থা হইয়াছে। জম্বুদ্বীপের অপর অক্টবর্ষ এবং সুবীত মহাবীতে সে ব্যবস্থা নাই। শাকদ্বীপাদিতে ভারতবর্ষের ষ্ঠা ধৰ্ম্ম প্রচলিত। কৃতযুগে রসোল্লাস বৃত্তি, ত্রেতায় গৃহ বৃক্ষজা । সেই বৃত্তি মানরের আর্তব-কৃতদোষ এবং কামত মৈথুন ও পুরুষাদিহেতু যবাদি, ও গ্রাম্য এবং আরণ্য চতুর্দশ পশু এবং সকল ওষধি, স্ত্রীদিগের রজোদোষ ও মানবের রাগাদিবশতঃ উৎপন্ন হয়। অতএব যত্নের সহিত রজস্বল স্ত্রী সন্তাষণ করিবে না । প্রথম দিনে চণ্ডালীর স্তায় রজস্বলাস্ত্রীর বর্জন করিবে। ৬৮-১০০ । দ্বিতীয় দিনে ব্রহ্মবাতিনী, তৃতীয় দিনে তাহার অৰ্দ্ধপরিমিতপাপযুক্ত হয়। চতুর্থাদনে স্নান করিয়া অৰ্দ্ধমাস পর্য্যস্ত শুদ্ধ হয়। অনন্তর পঞ্চম দিন হইতে দৈব পৈত্র্য কৰ্ম্মাধিকার হয়। ষোড়শ দিন পর্য্যস্ত রঙ্গোদোষে হইলে মুত্রতুল্য শৌচ করিবে। যদি রঙ্গোদোষ থাকে, তবে পঞ্চরাত্র অস্পৃষ্ঠা থাকে। বিংশতি দিনে উৰ্দ্ধে আবার রজ উপস্থিত হইলে পূর্ববং প্রকার করবে। রজস্বল রমণী স্নান, শৌচ, গান, রোদন, হান্ত, ধান, অভ্যঞ্জন, দৃতি, অমুলেপন, মৈথুন, মানস বা বাচিক দেবতাৰ্চন এবং নমস্কার যত্বের সহিত বর্জন করিবে। রজস্বল স্ত্রী অন্ত রজস্বল স্ত্রীর স্পর্শ ও সস্তাষণ এবং বস্ত্র, ত্যাগ করিবে না? রজস্বল স্ত্রী স্নান করিয়া পঙি ভিন্ন অক্স পুরুষকে স্পর্শ করিবে না। প্রথমতঃ ভাস্কর দর্শন করিবে; অনস্তর ব্রহ্মকুণ্ঠ, পঞ্চগব্য বা কেবল ক্ষীরপান করিলে আত্মশুদ্ধি হয়। চতুর্থ রাত্রিতে স্ত্রীগমন করিবে না , গমন করিলে অল্পায়, বিদ্যাহীন ব্রতভ্রষ্ট, পতিত, পর্দার-নিরত এবং নিতান্ত দরিদ্র তনয় জন্মগ্রহণ করে । কস্তার্থী পঞ্চম রাত্রিক্তে বিধিবৎ গমন কৰে । পঞ্চম রাত্রিতে রক্তাধিক্য বশতঃ কস্ত হয় , শুক্রাধিক্য হইলে পুত্র হয়। রক্ত ও শুক্র উভয় সমান হইলে মপুংসক হয় । পঞ্চম রাত্রিতে কষ্ট৷ হয়। ষষ্ঠরাত্রিতে গমন করিলে সে মহাভাগ পত্নী সংপুত্র প্রসব করে। সেই পুত্বের ব্যঞ্জন করে। পুংশক নজকের নাম, খই নরক বর্চ রাত্তিতে {{ গমন করিলে নরকত্রাণকারী পুত্র প্রস্থত হয়। সপ্তম রাক্রিত গমন করিলে কস্তা প্রকৃত হয়; অষ্টম রাঙ্কিত সৰ্ব্বগুণসম্পন্ন সর জন্মগ্রহণ করে, নবম রাত্রিতে কঞ্জ হয়। দশম রাত্রিতে পণ্ডিত পুল হয়। একাদশ রাত্রিতে পূৰ্ব্বং কস্ত হয়। বাদশ রাতে ধর্মুক্তত্বজ্ঞ শ্ৰেীভম্মৰ্ত্তপ্রৱৰ্ত্তক পুত্র হয়। ত্রয়োদশ রক্রিতে সৰ্ব্বসঙ্করষ্কারিণী জড়প্রকৃতি কস্ত প্রস্থত হয় । অতএব ত্রয়োদশ রাত্রিতে গমন করিবে না। চতুর্দশ রাত্রিতে গমন করিলে পুত্র জন্মগ্রহণ করে। পঞ্চদশ রাত্রিতে ধৰ্ম্মিষ্ঠ কষ্ঠ হয়। ষোড়শ রাত্রিতে জ্ঞানপারগ পুত্র হয়। মৈথুনকালে যদি স্ত্রীর বাম পার্থে বায়ু বিচরণ করে তবে কম্ভ হয়। স্ত্রীদিগের পাপগ্ৰহবিবর্জিত মৈথুনকালে বায়ু যদি দক্ষিণদিকে বিচরণ করে, তবে পুত্র হয়। উক্ত কালে স্বয়ং শুদ্ধ হইয়া শুদ্ধ শুচিস্মিতা স্বপরীতে গমন করিবে । আমি ধতিগণের ধৰ্ম্মসংগ্রহে প্রসঙ্গক্রমে সৰ্ব্বভূতের সদাচার কীৰ্ত্তন করিলাম। যে নর শুচি হুইল্লা পাঠ ও শ্রবণ করে বা দগ্ধকিল্বিষ ব্রাহ্মণকে শ্রবণ করায়, সে ব্রহ্মলোক প্রাপ্ত হইয়া ব্ৰহ্মার সহিত প্রমোদ অনুভব করে । ১০১-১১২ ৷ উননবতিতম অধ্যায় সমাপ্ত ।

      • . *

নবন্তিতম অধ্যায় । স্থত কহিলেন, আমি ইহার পর শিবপ্রোক্ত যতিগণেন্তু পাপশোধন নিশ্চিত প্রায়শ্চিত্ত বলিতেছি । পাপবাক্য, মনঃকায়সস্তৃত ব্রিবিধ। দিবারাত্রে সতত জগং যে পাপে বেষ্টিত হয় । যতি কৰ্ম্ম ন করিদ্ধাও অবস্থান করে, ইহা শ্রুতি-বাক্য । অতএব অতি চঞ্চল আয়ুষ্য যোগদ্বারা ক্ষণকালও প্রযুক্ত করিৰে। অপ্রমত্তের যোগ হইয়া থাকে, যোগই পরম বল, মানবের যোগ ভিন্ন কিছুই শুভ দেখা যায় না। অতএব ধৰ্ম্মযুক্ত মনীষিগণ যোগের প্রশংসা করিয়া থাকেন। পণ্ডিতগণ বিদ্যাম্বারা অবিদ্যার জয়পুৰ্ব্বক সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ঐশ্বৰ্য্য প্রাপ্ত হইয়া ব্ৰহ্ম ও মায়বিলাস দর্শন করিয়া সেই শিৰাধ্য পর্মপদ প্রাপ্ত হয়। ভিক্ষুদিগের যে ব্রত ও উপত্রত তাহাজের এক একটিরও পুৰ্ব্বক স্ত্রীগঞ্জন করিলে প্রাণায়ামসংযুক্ত সান্তপন ব্ৰতবিহিও, ইয়াছে এবং অণ্ডে সমাহিত হইয়া প্রাপত্ৰত বরিয়া পুনর্বার আশ্ৰয় প্রাপ্ত ইয়া