পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( • ব্ৰতচরণ করবে। ধৰ্ম্মের জন্ত মিথ্যা বলা যায়, মনীষিগণ ইহা হলিয়াছেন বটে, তথাপি তাহা বলিবে না। যে হেতু মিথ্যার প্রসঙ্গও ভয়ানক। কখন ঙ্ক্যিাবাক্য কহিলে, অহোরাত্র উপবাস করিয়া শত প্রাণারাম করবে। ধৰ্ম্মলিপ্ত যতি অসন্ধাদ করিকেল না এবং অত্যন্ত আপদগ্ৰস্ত হইয়াও চৌর্য্য করবেন না। বেদে উক্ত হইয়াছে, চৌর্যের অধির্ক অধৰ্ম্ম নাই । চৌধ্য সৰ্ব্বপ্রধান হিংসা বলিয়া কথিত হইয়াছে। ধন মানবের বহিশরণ প্রাণ, যে যাহার ধনহরণ করে, সে তাহার প্রাণহওঁ। যে দুষ্টাত্মা ভিক্ষু চৌর্য্য করে, সে ব্রতচু্যত হয়। পুনৰ্ব্বার নিৰ্ব্বেদঘুক্ত হইলে শাস্ত্রদৃষ্ট-বিধানে সংবৎসর চাম্ৰায়ণ ব্রত করবে। অনস্তর সংবৎসর অতীত হইলে ক্ষীণপাপ হইয়া নিৰ্ব্বিদ্ধচিত্তে আবার আলস্তশ্বন্ত হইয়া ভিক্ষুরূপে বিচরণ করবে। ১—১৫ । কৰ্ম্ম, মন ও বাক্য দ্বারা সৰ্ব্বভূতের অহিংসা ভিক্ষুর ধৰ্ম্ম । ভিক্ষু যদি অকামে ও পশু বা কুমির হিংসা করেন, তবে কন্তু ও অতিকছু অথবা চান্দ্রায়ণ করিবে। স্ত্রী দর্শন করিয়া ধদি ইন্দ্রিয়-দৌৰ্ব্বল্যবশতঃ যতির রেতঃস্খলন হয়, তবে ষোড়শবার প্রাণায়াম করিবে। দিবাতে যদি ব্রাহ্মণের রেতঃস্খলন হয়, তবে ত্রিরাত্র উপবাস ও শত প্রাণায়াম প্রায়শ্চিত্ত করবে। রাত্রিতে হইলে স্নানান্তর শুদ্ধ হইয়া দ্বাদশ প্রাণায়াম করিলে পাপ বিগম হইবে। প্রত্যহ একামিক অন্ন, মধু, মাংস, অপঙ্ক অন্ন এবং প্রত্যক্ষ লবণ ধতির অভোজ্য। এক একটর অতিক্রম করিলে যতিগণ প্রাজাপত্য ব্ৰত করিয়া পাপ হইতে মুক্ত হয়। বাক্য মন ও কায়দ্বারা যে কোন ব্যতিক্রম ঘটে, তাহাতে যতিগণ পণ্ডিতগণের সহিত নিশ্চয় করিয়া র্তাহারা যাহা বলিবেন, তাহার আচরণ করিবে। যতি সমলোষ্ট্রকাঞ্চল হইয়া শুদ্ধ ভাবে সমস্তভূতে সমাহিতচিত্ত হইয়া বিচরণ করিবে। এইরূপ করিলে শাশ্বত অব্যয় শ্রেষ্ঠ স্থানে নিশ্চয় গমন করে, যাহাতে গমন করিলে আর জন্ম হয় না। ১৫—২৪ । ` নবর্তিতম অধ্যায় সমাপ্ত। একনবতিতম অধ্যায়। ~ । श्ख भश्निम्, धाक्षि देशा भव श्रृंगश् বলিতেছি, শ্রবণ কর। যোগিগণ এই জ্ঞান ধার মৃত্যু দর্শ করিয়া থাকেন। ধে জরুর্তিী দক্ষত্র, ধ্রুব্বক্ষত্র, लिणभू**१ ।। ছায়াপুরুষ ও আকাশগঙ্গাপথ দর্শন করে, সে সংবৎসর পরে জীবিত থাকে না। যে স্থধ্যমগুলকে রশ্মিহীন ও অগ্নিকে রশ্মিযুক্ত দর্শন করে, সে একাদশ মাস । পরে জীবিত থাকে না । যে প্রত্যক্ষ বা স্বপ্নে মুত্র, পুরষ, মৃবর্ণ, রজত বমন করে, সে দশমাস পরে কাল প্রাপ্ত হয় । যে স্বর্ণবর্ণ বৃক্ষ, গন্ধৰ্ব্ব নগর, প্রেত ও পিশাচ দর্শন করে, সে নবমাস পরে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। যে অকস্মাৎ স্কুল ব৷ কৃশ হয় অথবা প্রকৃতিচু্যত হয়, সে আট মাস জীবিত থাকে। ধূলি বা কর্দমমধ্যে যাহার পক্ষাকৃতি অগ্র বা পৃষ্ঠদেশে খণ্ডাকৃতি হয়, সে সপ্তমাস জীবিত থাকে। যাহার মস্তকে কাক, কপোত, গৃধ্রু অথবা মাংসাসী পক্ষী অবস্থান করে, সে ষন্মাসের অধিক জীবিত থাকে না। যে বায়ুস পণ্ডিক্ত-পরিবৃত বা পাংশুবৃষ্টি-বেষ্টিত হইয়া গমন করে অথবা স্বচ্ছ স্থানে বিকৃতদর্শন করে, সে চারি কি পাচ মাস জীবিত থাকে। যে মেঘশূন্ত আকাশে দক্ষিণদিগবস্থিত বিদ্যুৎদর্শন করে বা জলে ইমধনু দর্শন করে, সে তিনমাস জীবিত থাকে । যে জলে বা দর্পণে আপনাকে দেখিতে পায় না অথবা মস্তক্লশূন্ত দর্শন করে, সে মাসমধ্যে মৃত হয়। যাহার গাত্র শবগন্ধ বা বসা গন্ধযুক্ত হয়, তাহার মৃত্যু উপস্থিত, সে অৰ্দ্ধমাসমধ্যে মৃত হয়। স্নান করিবামাত্র যাহার হৃদয় শুষ্ক হয়, অথবা মস্তক হইতে ধূম উদগত হইতে দেখা যায়, সে দশদিন মধ্যে কালগ্রস্ত হয়। বায়ু সস্তিন্ন হইয়া যাহার মৰ্ম্মস্থানসমূহ ছেদন করে, জলস্পর্শ করিলে যে হৃষ্ট হয় না, তাহার মৃত্যু উপস্থিত। স্বপ্নে ভল্লুক বা বানরযুক্তরথে আরোহণ করিয়া নৃত্য ও গান করিতে করিতে আপনাকে দক্ষিপ দিকে গমন করিতে দেখিলে মৃত্যু উপস্থিত স্থির করিবে । স্বপ্লে কৃষ্ণবস্ত্রধারিণী শুমবর্ণ গানপরায়ণ অঙ্গনা বাহকে দক্ষিণ দিকে লইয়া যায়, সেও জীবিত থাকে না। যে স্বপ্নে আপনার কণ্ঠ ছিদ্রযুক্ত ও নগ্ন শ্রমণক দর্শন করে, তাহার মৃত্যু নিকট। আমি মস্তক পৰ্য্যন্ত পঙ্ক-সাগরে মগ্ন হইতেছি, এইরূপ স্বপ্ন দেখিলে সদ্যঃ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। স্বপ্নে ভস্ম, অঙ্গার, কেশ, শুষ্ক নদী ও ভুজঙ্গ দর্শন করিলে শরত্র জীবিত থাকে না। ১–১৯। স্বপ্নে কৃষ্ণবর্ণ উদ্যঞ্জাস্ত্র পুরুষকর্তৃক পাষাণদ্বারা তাড়িত হইলে সদ্যঃ মৃত্যুমুখে নিপতিত হয়। হুৰ্য্যোয় হইলে প্রত্যুষে শিবগণ অবশেষ। স্নান করিবাবাত্র বাহার হৰন্থ পীড়িত হয়। ও দস্তুকম্প হয়, তাহাকে গঙায়ু বলিয়া স্থির করবে।