পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৰ্ব্বভাগ কি দান করিব ? অভিলধিত সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বর গ্রহণ , । অনন্তর মহাভাগ বিষ্ণু ভবকে কহিলেন, তবে যদি তু ) তুষ্ট হইয়া থাক, তাহ হইলে, হে দেব! হে শঙ্কর! আমি সকলের কওঁ হই, ভক্তি তোমাতে সুপ্রতিষ্ঠিত হউক। মহাদেব, বিষ্ণুকর্তৃক এইরূপ অভিহিত হইরা কেশবকে আশ্বাসিত করত নিজ পদাম্বুজে । ভক্তি প্রদান করিলেন। তুমি সকল লোকের । কৰ্ত্ত ও দেবতা, হে বংস ! তোমার মঙ্গল হউক । আমি গমন করিব। ভগবান বিষ্ণুকে এইরূপ কহিয়া । অনুগ্রহ প্রকাশপূৰ্ব্বক শুভজনক হস্তদ্বয় দ্বার ব্রহ্মাক । স্পর্শ করিলেন ও তাঁহাকে হৃষ্টান্তকরণে স্বয়ং কহিতে | লাগিলেন। বৎস! তুমি মৎসম ও আমার পরম ভক্ত, এ বিষয়ে কোন সংশয় নাই, তোমার মঙ্গল হউক ও তুমি সংজ্ঞা লাভ কর, আমি গমন করিব। পরমেশ্বর এইরূপ কহিয়৷ সেই স্থান হইতে অন্তহিত । হইলেন। ১—১৫ ॥ সৰ্ব্বদেবনমস্কৃত পরমেশ্বর গণ- ; নায়ুক গমন করিলে, পিতামহ পদ্মফেনি গোবিদ ; হইতে চৈতন্ত লাভ করিলেন। অনন্তর সেই পিতামহ, , প্রজা স্বজন ইচ্ছা করত উগ্র তপস্যা করিতে লাগিলেন, তিনি এইরূপ তপস্যা করিলেও কিছুই ফল । দেখিতে পাইলেন না। অনন্তর, দীর্ঘকাল তপস্যা । করাতে র্তাহার ক্ৰোধ জন্মিয়াছিল। ক্রোধাবিষ্ট ব্ৰহ্মার নেত্রদ্বয় হইতে অশ্রুবিন্দু পতিত হইতে লাগিল; অনস্তর, সেই অশ্রুবিন্দুতে বাতপিত্তকফাত্মক মহাবলবান, মহাভাগ স্বস্তিকচিহ্নালঙ্কত বিস্তৃতকেশসমূহে ভূষিত, মহাবিষধারী সৰ্পগণ প্রাদুর্ভূত হইল। সৰ্পগণকে অগ্রজাত দর্শন করিয়া ব্ৰহ্ম আঞ্জাকে নিন্দ করিলেন। অহো ! তপস্যার ফল যদি এইরূপ হইল, তাহা হইলে আমায় ধিক্‌ ! আমি কি হতভাগ্য ! প্রথমেই আমার জগন্নাশনী প্রজা জন্মিল। ক্রোধ ও অমর্ষ-জনিত তাহার মূর্ছ হইল। প্রজাপতি, মূৰ্ছার আধিক্যবশতঃ প্রাণ ত্যাগ করিলেন। অপ্রতিমবীৰ্য্য, প্রজাপতির দেহ হইতে একাদশ রুদ্র, অতি করুণস্বরে রোন-পরায়ণ হইয় নিষ্ক্রান্ত হইল। তাহার রোদন করিয়াছিলেন বলিয়, তাহাদিগের রুদ্র এই নাম হইয়াছিল; যাহারা কুঞ্জ ; তাহারাই প্রাণ; র্যাহার প্রাণ র্তাহারাই রুদ্র। সাধুনীললোহিত শূলধারী, পুনরায় অত্যুগ্র, মহত্বগুণ: শালী সাচার সম্পন্ন প্রজাপতিকে প্রাণদান করিলেন। ভগবান ব্রহ্ম পুনরায় প্রাণলাভ করিয়| দেবদেব উমাপতিকে প্রণাম করত দণ্ডায়মান রহিয় তাহকে দর্শন । করিলেন অনন্তর, সৰ্ব্বলোকময়, বিরূপ দর্শনপূর্বক । از ع গায়ত্রীদ্বার স্তৰ করিয়া বিস্ময়লাভ করত মুহুর্মুহুঃ ণাম করিয়া প্তাহাকে কহিলেন, হে বিভো ! তোমার সদ্যোজাতাদি রূপত্ব কেমন করিয়া হইল। ১৬—২৮ স্বাবিংশ অধ্যায় সমাপ্ত ।

রয়োবিংশ অধ্যায় । মৃত কছিলেন, তাহার সেইবাক্য শ্রবণ করিয়াভগবান ভব, প্রৰোধার্থ ঈষংহান্তপূৰ্ব্বক ব্ৰহ্মাকে কহিলেন, ধংকালে শ্বেতকল্প ছিল, সেইকালে কেবল আমিই ছিলাম, আমি তখন শ্বেতোষ্ট্রীষধারী ; শ্বেতমালাযুক্ত, শ্বেতাম্বরধর, শুভ্ৰ,শ্বেতাস্থি, শ্বেতরোম ও শ্বেতরক্ত এই হেতুক শ্বেতলোহিত নামে আমি বিখ্যাত ও শ্বেতকল্পও এইজন্ত শ্বেতকন্তু, এই নামে প্রসিদ্ধ। মৎপ্রস্থত ব্রহ্মসঙ্গত গায়ত্রী, তিনিও তৎকালে শ্বেতাঙ্গ শ্বেতবর্ণ শ্বেতলোহিত হইয়াছিলেন। হে দেবেশ । সেইজন্ত তুমি স্বীয় গুহ তপোবলে সদ্যোজাতন্ত্রপী আমাকে জানিতে পারলে। সন্যে: জাততত্ত্ব অতি গুহ । যে দ্বিজগণ, সেই সদ্যোজাত বিষয় জ্ঞাত হইণ্ডে,পরিবেন, তাহারা পুনরাবৃত্তিশুষ্ঠ মৎ সমীপে গমন করিবেন। যৎকালে আমার লোহিত এই নাম ছিল, সেইকালে মৎকৃত বর্ণ দ্বারাই লোহিতকল্প এই নাম প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেইস্কুলে লোহিতমাংসা লোহিত্যস্থি, লোহিতক্ষীর জনিক, লোহিতাক্ষী, প্রশস্তস্তন, গো গায়ত্রী নামে কীৰ্ত্তিত হন। বর্ণের বিপৰ্য্যয় ও তাহার লীেহত্যনিবন্ধন এবং দেবসৌন্দৰ্য্যবশতঃ আমি বামদেবত্বলাভ করিয়াছি। হে মহাসত্ত্ব! তুমি সংযতাত্মা হইয়া স্বকীয়যোগবলে রূপান্তরে অবস্থিত আমাকে জ্ঞানের বিষয় করিয়াছ ; সেইহেতুক আমি ভূতলে বামদেব নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছি। ১—১১। যে দ্বিজাতির এই মর্ত্যভূমে বামদেবত্ব জ্ঞাত হইতে পরিবে, তাহারা পুনরাবৃত্তিবর্জিত রুদ্রলোকে গমন করবে। যংকালে আমি পুনরায় এই মর্ত্যভূমে যুগক্রমে পীতবর্ণ হই; সেইকালে মৎকৃতলামার পীতকল্প হয়। তৎকল্পে মৎপ্রস্থত গায়ী দেবী, দ্বীতাবয়ব, পীতলোহিত, পীতবর্ণ হইয়াছিলেন। হে মহাসত্ব! সেইকল্পে যাগযুক্তমৃদয়ে যোগতংপরমনা আমাকে জানিতে পারিয়াছ ও পুনরায় তৎপুরুষত্বরূপে আমি তোমাকর্তৃক জ্ঞাত হইয়াছি ; সেইজন্স হে কনকাঞ্চদ আমি তৎপুরুষত্ব লাভ করিয়াছি।